(জেলা-উত্তর ২৪ পরগনা)
১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩-এ, দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের অধীনে ১৪৫ তম ব্যাটালিয়ন , আইসিপি পেট্রাপোলের মহিলা জোয়ানরা, ৭৮১.৮৬ গ্রাম সোনার পেস্ট সহ একজন মহিলা পাচারকারীকে ধরেছিল যা সে তার শরীরের নীচের অংশে তার ব্যক্তিগত জায়গায় লুকিয়ে রেখেছিল। বাংলাদেশ থেকে ভারতে এই স্বর্ণ আনার চেষ্টা করছিলেন ওই নারী। আটক সোনার আনুমানিক মূল্য ৪৬,৫৫,৯৭৬/- টাকা।
আইসিপি পেট্রাপোলের প্যাসেঞ্জার টার্মিনালে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ভ্রমণরত যাত্রীদের রুটিন চেকিংয়ের সময়, বিএসএফ মহিলা রক্ষীরা বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশকারী একজন সন্দেহভাজন মহিলা যাত্রীকে থামায়। মহিলা সৈন্যরা হ্যান্ড হেল্ড মেটাল ডিটেক্টর (এইচএইচএমডি) দিয়ে তাকে তল্লাশি করলে মেশিনটি মহিলা যাত্রীর শরীরে ধাতব পদার্থের উপস্থিতি নির্দেশ করে। এর পরে, মহিলা জওয়ান যাত্রীকে মহিলা তল্লাশি রুমে নিয়ে যান পুঙ্খানুপুঙ্খ তল্লাশির জন্য। তল্লাশির সময় মহিলা যাত্রীর গোপনাঙ্গে ইনসুলেশন টেপ দিয়ে মোড়ানো সোনার পেস্টের একটি ড্রাম আকারের টুকরো পাওয়া যায়। এছাড়াও, গভীরভাবে তল্লাশিকালে মহিলা যাত্রীর লাগেজে আরও ০২ টি ড্রাম আকারের সোনার পেস্ট পাওয়া যায়। সৈন্যরা মহিলা যাত্রীকে তার সোনাসহ আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সীমান্ত চৌকিতে নিয়ে আসে।
জিজ্ঞাসাবাদে সে নিজেকে ভারতীয় নাগরিক বলে পরিচয় দেয়। মহিলা যাত্রী 203 D/2 C উইং রানি প্লাজা, শামসুদ্দিন নগর, জারি মারি কুরলা আন্ধেরি রোড, মুম্বাই, মহারাষ্ট্র, ভারতের বাসিন্দা৷ ওই মহিলা জানান, তিনি দুবাই ও কাতার থেকে কাপড়ের ব্যবসা করেন। বর্তমানে বাংলাদেশে তার ব্যবসা চলছে। ওই মহিলা জানান, বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসার সময় বেনাপোলের বাসিন্দা আরশাদ নামে এক অজ্ঞাত ব্যক্তি তার সঙ্গে যোগাযোগ করে। আরশাদ ওই নারীকে ইনসুলেশন টেপে মোড়ানো ড্রামের আকারে তিনটি সোনার পেস্ট নিতে বলেন। এই কাজটি সম্পন্ন করার জন্য তিনি মহিলাকে ১০,০০০/- টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দেন। মহিলা এই কাজে রাজি হয়ে সোনা লুকিয়ে রাখেন। ভারতে আসার পর পেট্রাপোলের এক অজ্ঞাত ব্যক্তির কাছে এই সোনা তুলে দিতে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু ভারতে পৌঁছে বিএসএফ তল্লাশির জন্য নারী সৈন্যরা সোনাটি শনাক্ত করে বাজেয়াপ্ত করে।
আটক সোনা পাচারকারী মহিলাকে জব্দকৃত স্বর্ণসহ পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কাস্টম অফিস পেট্রাপোলে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিএসএফ দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের জনসংযোগ আধিকারিক, ডিআইজি শ্রী এ কে আর্য জওয়ানদের এই সাফল্যে আনন্দ প্রকাশ করেছেন। অফিসার বলেন যে সোনা চোরাকারবারীরা বারবার সোনা পাচারের চেষ্টা করে কিন্তু বিএসএফ জওয়ানরা ঘটনাস্থলেই তাদের পরিকল্পনা ভেস্তে দেয়। তিনি সীমান্তে বসবাসকারী লোকদের কাছে আবেদন করেন যে যদি সোনা চোরাচালান সম্পর্কিত কোনও তথ্য তাদের নজরে আসে তবে তারা বিএসএফের সীমা সাথী হেল্প লাইন ১৪৪১৯ নম্বরে যোগাযোগ করে এই বিষয়ে জানাতে পারেন। এ ছাড়া দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের আরও একটি নম্বর রয়েছে। যা (৯৯০৩৪৭২২২৭) *9903472227 যার উপর স্বর্ণ চোরাচালান সম্পর্কিত হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ বা ভয়েস মেসেজ পাঠানো যেতে পারে। সঠিক তথ্য প্রদানকারী ব্যক্তিকে উপযুক্ত পুরস্কারের পরিমাণ দেওয়া হবে এবং তার পরিচয় গোপন রাখা হবে।