সুভাষ চন্দ্র দাশ ,ক্যানি —
রাজাপুর যুব কমিটি ও গ্রামবাসীদের উদ্যোগে ক্যানিংয়ের তালদির পূর্ব রাজাপুর গ্রামে ৪০ ফুট উচ্চতার বৈষ্ণব সরস্বতী প্রতিমা পুজিত হবে শ্রীপঞ্চমীতে।শুধু প্রতিমার আকর্ষন নয়,১৫ তম বর্ষের এই পুজোয় আকর্ষন রয়েছে ১৫ ফুট উচ্চতার হাঁস,২৫ ফুট উচ্চতার বীণা।প্রতিমার কন্ঠে ১০৮ টি বড় বড় রুদ্রাক্ষের মালা।দীর্ঘ প্রায় নব্বই দিন ধরে প্রতিমা তৈরীর কাজ চলছে। মাটি ও খড়ের তৈরী প্রতিমা তৈরী করছেন মৃৎশিল্পী মৃত্যুঞ্জয় নস্কর।বাজেট প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা। যার সমস্তটাই এলাকার বাসিন্দাদের দেওয়া চাঁদা এবং গ্রামের স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রীদের টিফিন ও হাত খরচের টাকা বাঁচিয়ে শ্রীপঞ্চমী পুজোতে খরচ করা হয়। ইতিমধ্যে বৃহদাকার প্রতিমা দেখতে ভীড় উপছে পড়ছে এলাকায়।
আরো জানা গিয়েছে, এলাকার বাসিন্দা উত্তম নস্কর, পিন্টু সরদার,রাজীব বৈদ্য,কৃষ্ণ সরদার,বাপি বৈদ্য,সুদীপ বৈদ্য,শুভজ্যোতি মিস্ত্রি’রা টিফিন এবং হাত খরচের পয়সা বাঁচিয়ে সরস্বতী পুজোর করার পাশাপাশি সেই টাকায় রাস্তার দরিদ্র ফুটপাতবাসীদের মধ্যে খাদ্যদ্রব্য বিতরণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পুজো কমিটির সভাপতি বিরাট বৈদ্য জানিয়েছে, ‘সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে চকম লাগাতে আমরা গত বছর ৩৫ ফুট উচ্চ প্রতিমা তৈরি করেছিলাম। এবছর আরো একটু চমক দেওয়ার জন্য ৪০ ফুট উচ্চতার বৈষ্ণব সরস্বতী প্রতিমা তৈরী করেছি।’
পুজো কমিটির সম্পাদক রমেশ বৈদ্য জানিয়েছেন,এই পুজো উপলক্ষ্যে বুধবার থেকে ৫ দিন ধরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।পাশাপাশি আগামী মঙ্গলবার আমাদের ৪০ ফুট উচ্চতার বৈষ্ণব সরস্বতী পুজোর আনুষ্ঠানিক ভাবে সূচনা করবেন ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশরাম দাস।’
বৃহৎ সরস্বতী পূজোর পুরোহিত বাসুদেব ভট্টাচার্য বলেন, “আমি এতো জায়গায় পুজো করি।এখানে ক্যানিং মহকুমা তথা জেলার মধ্যে সর্ব বৃহৎ সরস্বতী প্রতিমা পুজো করে সবচেয়ে বেশি আনন্দ পেয়ে থাকি।”