সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং- দিন কয়েক আগেই সুন্দরবনের উপর তান্ডব চালিয়েছিল যশ।পাশাপাশি পূর্ণিমার ভরা কোটালে সুন্দরবনের প্রতিটা নদীতে বেড়েছিল জলস্ফীতি। সেই জলস্ফীতির জেরে নদীবাঁধ ভেঙে এবং নদীর বাঁধ ছাপিয়ে জলোচ্ছ্বাস হয়েছিল। জলোচ্ছ্বাসের জেরে সুন্দরবনের নদী তীরবর্তী গ্রামের পর গ্রাম নোনা জলে জলমগ্ন হয়ে পড়ে। পূর্ণিমার ভরা কোটাল কেটে গেলেও এখনও জোয়ারের সময় নদীর জল বেশকিছু গ্রামে টুকে পড়ছে অবলীলাক্রমে। পাশাপাশি সুন্দরবনের গোসাবা,বাসন্তী,ক্যানিং ২নম্বর ব্লকের অধিকাংশ গ্রাম জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। এমন চরম সংকটময় মুহূর্তে দেখা দিয়েছে পানীয় জলের সংকট।
পানীয় জলের সংকট মেটাতে তৎপর হয়েছে প্রসাশন। ক্যানিং ১ ব্লকের বিভিন্ন প্রান্তের নলবাহিত পানীয় জলে কল থেকে জল ড্রাম ভর্তি করে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে প্রত্যন্ত এলাকায়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবী প্রবল জলোচ্ছ্বাসে পুকুর,খাল,বিল নোনা জলে ভরে গিয়েছে। পাশাপাশি অনেক নলকুপ নোনা জলে ডুবে গিয়ে অকেজো হয়ে পড়ায় পানীয় জলের সংকট দেখা দিয়েছে। তবে প্রশাসনের তৎপরতায় হাতের কাছে পানীয় জল পেয়ে তারা খুশি।