Home Uncategorized মৎস্যজীবিদের জন্য দুমাস সমুদ্রে মাছ ধরার বন্ধ

মৎস্যজীবিদের জন্য দুমাস সমুদ্রে মাছ ধরার বন্ধ

0

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়,সুন্দরবন : শুরু হয়ে গেল মৎস্যজীবিদের সমুদ্রে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা।জারি করা হয়েছে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা। ফলে এখন আর মৎস্যজীবীরা টানা দু’মাস সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে পারবেন না। আর তাই এখন ফিশিং হারবার গুলি বা মৎস্য বন্দরগুলিতে মৎস্যজীবীদের কোলাহল একেবারে নেই। যেন সবকিছু স্তব্ধ হয়ে গেছে।সুন্দরবনের রায়দীঘি, পাথরপ্রতিমা, মৈপীঠ, নামখানা, কাকদ্বীপ, ডায়মন্ডহারবারের ঘাটে সারি দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে মাছ ধরার ট্রলারগুলি।এবছর ১৪ এপ্রিল থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত ৬১ দিন এই ফিশিং ব্যান পিরিয়ড অর্থাৎ মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা চলবে। এই সময়কালের মধ্যে মৎস্যজীবীরা গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে পারবেন না। সমুদ্রতট থেকে ১২ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত মাছ ধরার উপর সমস্ত রকমের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। মূলত মাছের প্রজনন এবং উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে এই ফিশিং ব্যান পিরিয়ড জারি করা হয়। এই সময়ের মধ্যে মাছেরা নিশ্চিন্তে সমুদ্রে বিচরণ করতে পারে। এই সময়কালের মধ্যে মৎস্যজীবীরা তাঁদের জাল সারিয়ে তুলবেন। ট্রলারে কোনও অসুবিধা রয়েছে কিনা সেটিও দেখা হয় এই সময়। নতুন জাল বোনা থেকে শুরু করে মাছ ধরার সরঞ্জাম সব কিছুর পরীক্ষা করার কাজ চলবে।এদিকে ফিশিং ব্যান পিরিয়ড শুরু হওয়ায় রোজগার নিয়ে চিন্তায় মৎস্যজীবীরা। এই দুটো মাস কীভাবে ঘর-সংসার চলবে তা নিয়ে সমস্যায় পড়ে গিয়েছেন অনেকেই। কেউ কেউ এই সময়ে অন্য জীবিকা বেছে নেওয়া কথা ও ভাবছেন। এই প্রসঙ্গে মৎস্যজীবী ইউনিয়দের তরফে বলা হয়,এই বছর থেকে মাছ ধরা বন্ধ থাকার সময় দু’মাস মৎস্যজীবীরা রাজ্য সরকারের কাছ থেকে আর্থিক সাহায্য পাবে। তবে মালিকদের‌ও মৎস্যজীবিদের কিছু সাহায্য করলে খুব ভাল হয়।তবে সরকারি সাহায্য এই সময় পাবে জেনে কিছুটা হলেও খুশি সুন্দরবনের মৎস্যজীবিরা।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Exit mobile version