(জেলা-উত্তর ২৪ পরগনা)
দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের অধীন ১১২ ব্যাটালিয়নের সীমা চৌকি আমুদিয়ার জওয়ানরা সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে কাজ করে ০৫ টি সোনার বিস্কুট সহ এক পাচারকারীকে হাতেনাতে ধরেছে। জব্দকৃত সোনার বিস্কুটের ওজন ৫৮৩ গ্রাম এবং যার আনুমানিক মূল্য ৩৫,৮০,৮৪৪/- টাকা। চোরাকারবারি এসব সোনার বিস্কুট এক বাংলাদেশি তস্করের কাছ থেকে পাচারের জন্য ভারতে নিয়ে আসছিল ।
উল্লেখযোগ্য যে, ১৯ জুলাই, ২০২৩ তারিখে, সীমা চৌকি আমুদিয়ার জওয়ানরা গোয়েন্দা পায় যে এক চোরাকারবারী জমিতে কাজ করা কৃষকের ছদ্মবেশে বাংলাদেশী পাচারকারীর কাছ থেকে সোনার বিস্কুট নিয়ে ফিরে আসছে। নিশ্চিত সংবাদ অনুসারে, এক কৃষককে সাইকেল নিয়ে চেকিং পয়েন্টে আসার পর জওয়ানরা তাকে তল্লাশি করে। তল্লাশির সময় হ্যান্ড হেল্ড মেটাল ডিটেক্টর (এইচএইচএমডি) মেশিন থেকে বিপ শোনা যায়। এরপর জওয়ানরা সাইকেলটি ভালোভাবে তল্লাশি করলে সাইকেলের হ্যান্ডেল থেকে ০৫ টি সোনার বিস্কুট বের হয়। এসময় পাচারকারী পালানোর চেষ্টা করলেও সতর্ক জওয়ানরা পাচারকারীকে ঘটনাস্থলেই ধরে ফেলে। আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জওয়ানরা পাচারকারীকে সীমান্ত চৌকিতে নিয়ে আসে। ধৃত পাচারকারীর পরিচয় – হাসান গাজী (৩৮ বছর), পিতা মজিবর গাজী, জেলা উত্তর ২৪ পরগনা বলে জানা যায়।
জিজ্ঞাসাবাদে চোরাকারবারী জানায়, সে তার ক্ষেতে কাজ করার সময় সাইফুল, জেলা সাতক্ষীরা, বাংলাদেশের এক চোরাকারবারী তার কাছে এসে তাকে ৫টি সোনার বিস্কুট দেয়। সে আরও জানান, সাইফুলের নির্দেশে সে এসব সোনার বিস্কুট অজ্ঞাত চোরাকারবারীর হাতে তুলে দিতে যাচ্ছিল। এই কাজের জন্য ওই অজ্ঞাত চোরাকারবারির কাছ থেকে তার এক হাজার টাকা পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কর্তব্যরত জওয়ানরা ঘটনাস্থলেই তাকে আটক করে।
আটক চোরাকারবারীকে জব্দকৃত সোনা সহ পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তেন্তুলিয়া কাস্টম অফিসে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স সীমান্তে বসবাসকারী লোকদের বিএসএফ-এর সীমা সাথী হেল্পলাইন নম্বর ১৪৪১৯ এ যোগাযোগ করার আহ্বান জানিয়েছে। এ ছাড়া দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তে আরও একটি নম্বর ৯৯০৩৪৭২২২৭ জারি করেছে, যাতে সোনা চোরাচালান সংক্রান্ত তথ্য হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ বা ভয়েস মেসেজ করে পাঠানো যাবে। সঠিক তথ্য প্রদানকারী ব্যক্তিকে উপযুক্ত পুরস্কারের অর্থ প্রদান করা হবে এবং তার পরিচয় গোপন রাখা হবে।