Home General বিএসএফ, দক্ষিণবঙ্গ সীমান্ত মাদক চোরাচালানের চেষ্টাকে ব্যর্থ করে, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে ৬০০...

বিএসএফ, দক্ষিণবঙ্গ সীমান্ত মাদক চোরাচালানের চেষ্টাকে ব্যর্থ করে, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে ৬০০ বোতল ফেনসিডিল সহ একজন পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করেছে।

0

জেলা উত্তর ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ, ১৫ জানুয়ারী ২০২৪, দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের সতর্ক বিএসএফ জওয়ানরা পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা এবং মুর্শিদাবাদ জেলার আন্তর্জাতিক সীমান্তে মাদক চোরাচালানের বিভিন্ন প্রচেষ্টা ব্যর্থ করেছে এবং ৬০০ বোতল ফেনসিডিল বাজেয়াপ্ত করেছে এবং একজন পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করে ,চোরাকারবারীরা যখন ভারত থেকে এসব ফেনসিডিল বোতল বাংলাদেশে পাচারের চেষ্টা করছিল। জব্দকৃত ফেনসিডিল বোতলের আনুমানিক মূল্য ১,২৩,২৮৮/- টাকা।

তথ্য অনুসারে, ১১২ ব্যাটালিয়ন, সীমান্ত চৌকি আমুদিয়ার জওয়ানরা নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে তাদের দায়িত্বের এলাকায় একটি বিশেষ অ্যামবুশ স্থাপন করেছিল। অতর্কিত হামলার সময় জওয়ানরা দেখেন, তিন-চারজন চোরাকারবারি কিছু মালামাল নিয়ে সীমান্তের বেড়ার দিকে এগোচ্ছে। জওয়ানরা পাচারকারীদের সতর্ক করে দিয়ে তাদের ধাওয়া করে এবং একজন পাচারকারীকে ধরতে সফল হয়। তল্লাশিকালে চোরাকারবারীর কাছ থেকে তিনটি প্লাস্টিকের ব্যাগ পাওয়া যায় এবং তল্লাশি করলে ব্যাগ থেকে ১০০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত পাচারকারীর নাম রফিকুল মোল্লা (বয়স-৩৬ বছর), পিতা- মৃত দুঃখী মোল্লা, গ্রাম- আমুদিয়া, জেলা- উত্তর ২৪ পরগনা (পশ্চিমবঙ্গ)।

জিজ্ঞাসাবাদে রফিকুল মোল্লা জানায় সে একজন ভারতীয় নাগরিক এবং জীবিকার তাগিদে কয়েকদিন ধরে ছোটখাটো চোরাচালান করে আসছিল। তিনি আরও বলেন, ১৫-০১-২০২৪ তারিখে তিনি নবতকাটি গ্রামের একজনের কাছ থেকে ০৩ টি পোটলা পান। এরপর প্রাপ্ত মালামাল বেড়ার ওপর দিয়ে বাংলাদেশের দিকে ছুড়ে দিতে যাচ্ছিলেন তিনি। এই কাজের জন্য তিনি পান ৫০০/- টাকা। কিন্তু পথে তিন ব্যাগ ফেনসিডিল বোতলসহ বিএসএফের ডিউটি সদস্যদের হাতে ধরা পড়ে সে।

এছাড়াও বর্ডার ফাঁড়ির রাণী নগর, ৮৬ ব্যাটালিয়ন, বিএসএফের জওয়ানরা ৩০০ বোতল ফেনসিডিল এবং ১১২ ব্যাটালিয়নের বিএসএফ জওয়ানরা 200 বোতল ফেনসিডিল আটক করেছে করেছে।

জব্দকৃত মালামাল ও আটক চোরাকারবারীকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগে হস্তান্তর করা হয়েছে।

দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের জনসংযোগ আধিকারিক জওয়ানদের কৃতিত্বে আনন্দ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছিলেন যে ডিউটিতে থাকা বিএসএফ জওয়ানদের নজরদারির কারণেই এটি সম্ভব হয়েছে। অফিসার সাফ কথায় বলেছেন, বিএসএফ জওয়ানদের চোখের আড়াল করা যাবে না। তিনি আরো বলেন, চোরাচালান সংক্রান্ত সঠিক তথ্য প্রদান এবং সীমান্ত এলাকায় সংঘটিত অপরাধমূলক কর্মকান্ডের উপর কড়া নজর রাখার জন্য তাদের একটি চমৎকার টিম রয়েছে।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Exit mobile version