উত্তর ২৪ পরগণা, নদীয়া, মালদহ, ০৫ মার্চ ২০২৪ তারিখে, দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের অধীনে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে মোতায়েন বিএসএফ জওয়ানরা , উত্তর ২৪ পরগণা, নদীয়া এবং মালদহ জেলার সীমান্ত এলাকায় পশ্চিমবঙ্গ থেকে মাদক চোরাচালানকারীদের গ্রেপ্তার করেছে। ভারত থেকে বাংলাদেশে চোরাচালান বানচাল করে মোট ৭০৫টি ফেনসিডিল বোতল ও ২১ কেজি গাঁজা সহ এক জন চোরাকারবারীকে আটক করেছে। জব্দকৃত মাদকের আনুমানিক মূল্য ১,৪৪,৮৬৩/- টাকা।
তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ৪/৫ মার্চ মধ্যরাতে, ৩২ ব্যাটালিয়নের সীমান্ত চৌকি আমবাগানের সৈন্যরা ভারত থেকে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ পণ্য পাচারের বিষয়ে নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে তথ্য পায়। খবর পাওয়া মাত্রই সৈন্যরা সন্দেহভাজন এলাকায় বিশেষ অ্যামবুশ করে। প্রায় ০০০৫ ঘটিকায় , বিএসএফ জওয়ানরা লাইনে তাদের লাগেজ সহ ৪ জনকে যেতে দেখে। সৈন্যরা তাদের থামতে বললেই তারা পালাতে শুরু করে। একজন চোরাকারবারী রেললাইনে পড়ে সৈন্যদের হাতে ধরা পড়ে। সেনারা ঘটনাস্থল থেকে চারটি ব্যাগে মোট ২১ বান্ডিল গাঁজা উদ্ধার করেছে। ধৃত চোরাকারবারী পড়ে যাওয়ায় মাথায় সামান্য আঘাত পান এবং সঙ্গে সঙ্গে সীমান্ত চৌকিতে নিয়ে এসে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নাম ভীম বিশ্বাস, পিতা মৃত চন্ডীচরণ বিশ্বাস, গ্রামের মালিগাথা, থানা কৃষ্ণগঞ্জ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ৫০০ টাকার প্রলোভনে গাঁজা পাচারে জড়িত বলে স্বীকার করেছে। তিনি আরও জানান, তার সঙ্গে নাথপুর ও গোবিন্দপুর গ্রামের দুই ব্যক্তি পালিয়ে যায়। তিনি আরও জানান, গেদে গ্রামের পাশে কলা বাগানে অজ্ঞাত কয়েকজনকে এসব মালামাল দিতে যাচ্ছিল।
এছাড়াও এদিন অন্যান্য ঘটনায় বর্ডার পোস্ট আংরাইল, ০৫ ব্যাটালিয়নের বিএসএফ জওয়ানরা ৬০০ ফেনসিডিল জব্দ করে এবং বর্ডার পোস্ট মাহাদীপুর, আষাঢ়দহ ও মনসামাতার সৈন্যরা নিজ নিজ এলাকা থেকে ১০৫টি ফেনসিডিল জব্দ করে।
আটক চোরাকারবারী ও জব্দকৃত মালামাল সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিএসএফের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে চোরাচালান বন্ধে সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে। যার কারণে চোরাচালানের সঙ্গে জড়িতরা বেশ সমস্যায় পড়ছেন, কেউ কেউ ধরা পড়ছেন। ওই কর্মকর্তা কঠোর ভাষায় বলেন, সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী কোনো অবস্থাতেই চোরাচালান হতে দেবে না।