আমি বাপি ভৌমিক, পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ 24 পরগনা জেলার একেবারে দক্ষিণ-পূর্ব কোণে অবস্থিত একটি প্রত্যন্ত দ্বীপ কে প্লট থেকে বলছি। গ্রামের নাম পশ্চিম সৃপতিনগর গঙ্গার ঘাট নামে খ্যাত। দিপটি g-plot এর পাশেই অবস্থিত। এখানকার জনবসতি আনুমানিক 10 থেকে 12 হাজার এবং এই দ্বীপের আয়তন আনুমানিক 100বর্গ কিলোমিটার।এটি পাথরপ্রতিমা ব্লকের পাথরপ্রতিমা থানার অচিন্ত্য নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত।
দ্বীপ টি অবস্থান করছে পাথরপ্রতিমা মূল ভূখন্ড থেকে জলপথে প্রায় তিন ঘন্টা অতিক্রম করে একেবারে বঙ্গোপসাগরের কোলে ঠাকুরান নদীর তীরে একেবারেই চার ধার নদী দ্বারা বেষ্টিত এই ছোট্ট দ্বীপ টি দিনের পর দিন বিভিন্ন প্রাকৃতিক বিপর্যয় ছোট হতে চলেছে।
বহু ঝড়ের সম্মুখীন হয়েছে এই দ্বীপ।
2009 সালে আইলা এই দ্বীপটিকে চারদিক থেকে নদী বাঁধ ভাঙ্গন এর মধ্য দিয়ে আয়তনে খুব ছোট করে দিয়েছিল। পরপর 5 বছর এখানে সকল চাষযোগ্য জমি কোনরূপ চাষের উপযোগী ছিলনা। তারপর বুলবুল ঝড়ের দ্বীপের অধিকাংশ গাছ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল গতবারের আম্ফান ঝড় পুনরায় বিঘার পর বিঘা জমির শস্য নষ্ট করে দিয়েছিল। এবছরেও যশের তাণ্ডবেও সেই একই ছবির পুনরাবৃত্তি ঘটল। হাজারবিঘা আইলা বাঁধ , ছোহের ঘেরি,মণ্ডলের ঘেরি, থেকে বাঁধ ভেঙ্গে ও বাঁধের উপর প্রায় 2 মিটার উপর থেকে জল ঢুকে বিঘার পর বিঘা জমি তছনছ করে দিয়েছে। বহু মানুষের ঘর ভেঙ্গে ছারখার হয়ে গেছে। বহু মানুষ অসহায় ভাবে দিনযাপন করছে। গ্রামে নোনা জল ঢুকে গ্রামের সমস্ত পুকুরের মাছ মারা গেছে। বিভিন্ন জায়গায় প্রাইমারি স্কুল গুলোতে ত্রাণ শিবির করা হয়েছিল সেখানে বহু মানুষ ও গৃহপালিত পশু আশ্রয় নিয়েছে।যদিও অনেক স্কুলে জল ঢুকেছে।
এই গঙ্গার ঘাট কেপ্লট পশ্চিম সৃপতিনগর গ্রামের মানুষের একমাত্র জীবন জীবিকা চাষবাস ও মৎস্য ও কাঁকড়া শিকার এবং মধু সংগ্রহ ও জঙ্গলে কাঠ কাটা। একদিকে করোনার বাড়বাড়ন্ত, সরকারি লকডাউন স্বাস্থ্যবিধি মেনে দূরত্ব বজায় রাখা অন্যদিকে প্রাকৃতিক বিপর্যয় এখানকার মানুষজনের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত করেছে। এই দিন আনা দিন খাওয়া অসহায় মানুষগুলো শুধু তাকিয়ে কিছু সরকারি সহযোগিতা ও ত্রাণের অপেক্ষায়।