(জেলা-নদিয়া এবং উত্তর ২৪ পরগণা)
২৩/২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩ তারিখে, দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের অধীন সীমা চৌকি রামচন্দ্রপুর ও মুস্তাফাপুর, ১০৭ ব্যাটালিয়ন এবং সীমা চৌকি মহাখোলা, ৮২ ব্যাটালিয়নের জোয়ানরা ২১ কেজি গাঁজা সহ এক চোরাকারবারী, ৬০০ বোতল ফেনসিডিল এবং ৩৮৫ বোতল কোডিন সিরাপ আটক করেছে। .
জওয়ানরা সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে একটি বিশেষ অভিযান চালায়, যেখানে সীমান্তে ২১ কেজি গাঁজার ১০ টি বান্ডিল সহ এক পাচারকারীকে ধরেছে। যেগুলো সে পোটলা তে ভরে বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। ধৃত পাচারকারীর পরিচয় – মিঠুন মন্ডল (৪৫), জেলা উত্তর ২৪ পরগনা।
জিজ্ঞাসাবাদে চোরাকারবারি স্বীকার করে যে, আজ সে প্রথমবারের মতো চোরাচালানের মতো অপরাধ করেছে, অন্যথায় সে ট্রাকের হেলপার হিসেবে কাজ করে। সে আরও জানায় যে সে এই জিনিসগুলি বেহরা গ্রামের মিল্টন ধাবক এর থেকে নিয়েছিল এবং কাঁটাতারের উপর দিয়ে বাংলাদেশে পার করতে যাচ্ছিল।
অন্যান্য ঘটনায়, সীমা চৌকি মহাখোলা, ৮২ ব্যাটালিয়ন এবং সীমা চৌকি মুস্তাফাপুর, ১০৭ ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা যথাক্রমে ৬০০ বোতল ফেনসিডিল এবং ৩৮৫ বোতল কোডাইন সিরাপ জব্দ করেছে। সমস্ত ঘটনায় জব্দকৃত পণ্যের মোট মূল্য ১,৯০,৫৬১/- টাকা।
আটক চোরাকারবারী ও জব্দকৃত মালামাল পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
দক্ষিণবঙ্গের জনসংযোগ আধিকারিক জানান, চোরাকারবারীরা নিত্যনতুন উপায়ে পাচারের চেষ্টা করলেও বিএসএফ জওয়ানদের সতর্কতার কারণে তারা সফল হয় না। তিনি আরও বলেন, অপরাধীরা বিএসএফের হাতে ক্রমাগত ধরা পড়ছে, যাদের আইন অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া হচ্ছে।
(জেলা-মালদা)
বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) জওয়ানরা শুধুমাত্র পূর্ণ নিষ্ঠার সাথে সীমান্ত পাহারা দেয় না, সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী মানুষদের সুখে-দুঃখে সবসময় সাহায্যও করে। সেক্টর হেডকোয়ার্টার মালদহের অধীনে ১৫৯ ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা এমনই উদাহরণ উপস্থাপন করেছে।
মানবিক মূল্যবোধ প্রদর্শন করে, বিএসএফ জওয়ানরা তাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সীমান্ত গ্রাম তিতুপাড়ায় একটি বাড়িকে পুড়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে এবং সফলভাবে আগুন নিভিয়ে ফেলে।
ঘটনাটি ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩ তারিখে সীমা চৌকি আর কে বাধওয়া, ১৫৯ ব্যাটালিয়ন এলাকায় ঘটেছে। প্রায় ১৯২০ ঘটিকায়, সীমান্ত চৌকি থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে, একজন গ্রামবাসী মশা তাড়ানোর জন্য তার বাড়িতে ধোঁয়া দেয়। কিন্তু প্রবল বাতাসের কারণে ধোঁয়া থেকে নির্গত আগুন ভয়াবহ রূপ নেয় এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুন গ্রামবাসীর পুরো বাড়িকে গ্রাস করে। কিন্তু আগুন লাগার খবর পাওয়া মাত্রই সীমান্ত চৌকি আর.কে. ওয়াধওয়ার জওয়ানরা অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান। জওয়ানরা তাদের দায়িত্ব এবং সাহসিকতার সাথে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রের সাহায্যে নিয়ে গ্রামবাসীর বাড়িটিকে পুড়ে যাওয়া থেকে বাঁচিয়েছে।
গ্রামবাসীরা বিএসএফ-এর খুব প্রশংসা করেন এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তারা বলেন, বিএসএফের তৎপরতার কারণে কোনো জানমালের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
১৫৯ ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডিং অফিসার তার জওয়ানদের, সীমান্ত গ্রামবাসীদের সাহায্য করায় আনন্দ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, সীমান্ত পাহারা দেওয়ার পাশাপাশি সীমান্ত গ্রামবাসীকে মানবিক মূল্যবোধের ভিত্তিতে সাহায্য করাও তাদের কর্তব্য, যার কারণে গ্রামবাসী ও বিএসএফের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রয়েছে।