জেলা- উত্তর ২৪ পরগণা,২৩ এপ্রিল ২০২৪, বিএসএফ দক্ষিণবঙ্গ সীমান্ত ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে টানা দ্বিতীয় দিনের জন্য সোনা আটক করেছে, এই বিষয়ে, ৬৮ ব্যাটালিয়নের সীমান্ত চৌকি মধুপুরের সতর্ক বিএসএফ জওয়ানরা চোরাচালানের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করেছে, একজন বাংলাদেশী পাচারকারী সীমান্তের বেড়া পার করে বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসব সোনার বিস্কুট পাচারের চেষ্টাকালে ৩ টি সোনার বিস্কুটসহ ধরা পড়ে। জব্দ করা সোনার বিস্কুটগুলির ওজন ৩৫০.২৪০ গ্রাম এবং আনুমানিক বাজার মূল্য ২৬,০৫,৭৮৬/- টাকা।
তথ্যমতে, গত ২২ এপ্রিল ৬৮ ব্যাটালিয়নের সীমান্ত চৌকি মধুপুরের দায়িত্বরত এলাকায় সোনা চোরাচালানের বিষয়ে বিশেষ তথ্য পায় বিএসএফ সদস্যরা। এ তথ্যের ভিত্তিতে বিওপি মধুপুরের দায়িত্বে বেড়ার ওপারে অতর্কিত হামলা চালানোর পরিকল্পনা করা হয়। প্রায় ১৩০০ ঘটিকায় দিকে, অ্যাম্বুশ পার্টি এক ব্যক্তিকে বাংলাদেশের দিক থেকে বেতনা নদী পেরিয়ে ভারতীয় সীমান্তের দিকে আসতে দেখে। অ্যামবুশ পার্টি নীরবে সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে ঘিরে ফেলে এবং সোনার চালান ডাম্প করার সময় তাকে আটক করে। তল্লাশি করে তার কোমরে বাঁধা তিনটি সোনার বিস্কুট উদ্ধার করেছে ।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নাম রহিম মন্ডল (উঃ) রবিউল মন্ডল, গ্রাম-গোপালপুর, ডাকঘর-যাদবপুর, জেলা ঝিনাইদহ (বাংলাদেশ)।
জিজ্ঞাসাবাদে রহিম মন্ডল জানায় সে বাংলাদেশের বাসিন্দা। তিনি আরও জানান, তিনি দরিদ্র পরিবারের সন্তান। এতে আরও বলা হয়েছে যে কয়েকদিন আগে তিনি অরুধি নামে একজন বাংলাদেশী নাগরিকের সাথে দেখা করেছিলেন, যিনি বেড়ার ওপারে একজন ভারতীয় ব্যক্তির কাছে চালানটি সফলভাবে ডেলিভারি করার জন্য তাকে ৫০০ বাংলাদেশি টাকা প্রস্তাব করেছিলেন। সে ০৩ টি বিস্কুট বহন করছিল এবং বেড়ার ওপরে ফেলে দেওয়ার সময় বিএসএফ দল তাকে চালানসহ আটক করে।
জনসংযোগ আধিকারিক, বিএসএফ, দক্ষিণবঙ্গ সীমান্ত , শ্রী এ.কে. আর্য, ডিআইজি বিএসএফের এই কৃতিত্বে আনন্দ প্রকাশ করেছেন। তিনি আরও বলেন, চোরাচালানের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি সীমান্তে বসবাসকারী লোকদের কাছে আবেদন করেছিলেন যে তারা যদি সোনা চোরাচালান সম্পর্কিত কোনও তথ্য পান তবে তারা বিএসএফের সীমান্ত সাথী হেল্পলাইন নম্বরে যোগাযোগ করুন এবং ১৪৪১৯ নম্বরে বিএসএফকে তথ্য দিতে পারেন। দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের আরও একটি নম্বর ৯৯০৩৪৭২২২৭ প্রকাশ করেছে যেটিতে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ বা ভয়েস মেসেজ দেওয়া যাবে। সোনা চোরাচালান সংক্রান্ত বার্তাও পাঠানো যেতে পারে। সঠিক তথ্য প্রদানকারী ব্যক্তিকে উপযুক্ত পুরস্কারের পরিমাণ দেওয়া হবে এবং তার পরিচয় গোপন রাখা হবে।