Home Uncategorized গণতন্ত্রের উৎসব কলকাতায় ভোটের হার কমছে কেন বিক্ষিপ্ত ঘটনা থাকলেও ভোট শান্তিপূর্ণ

গণতন্ত্রের উৎসব কলকাতায় ভোটের হার কমছে কেন বিক্ষিপ্ত ঘটনা থাকলেও ভোট শান্তিপূর্ণ

0

অনেক অপেক্ষার অবসান শেষমেষ আজ মহা ধুমধামে শেষ হলো কলকাতা পুর নির্বাচন।  নিজের এলাকার জনপ্রতিনিধি বেছে নিলেন কলকাতাবাসী।  নরম এই গরমে নানা বিক্ষিপ্ত ঘটনার মধ্য দিয়ে শীতের পরশে রবিবার টি কাটাল আপামোর কলকাতাবাসী।  এই রবিবাসরীয় ভোটে  বোমায় পুড়ে গেছে কারুর।  বিরোধীদের নিশানায় শাসকদলের    দলদাসেরা।  সকাল থেকেই বিরোধীরা সরব হয়েছিল বিভিন্ন বুথে তাদের এজেন্টকে বসতে দিচ্ছে না সেই নিয়ে।  সিপিআইএম এই প্রতিবাদে বাঘাযতীন মোর পথ অবরোধ করে বসে।  অধীর রঞ্জন চৌধুরী টুইটের মাধ্যমে ক্ষোভ উগরে দেয় কার নিশানা ছিল স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর দিকে।  প্রধান বিরোধী দল বিজেপি তারাও সরব হয়ে রাজ্যপালের কাছে ডেপুটেশন জমা দেয়।  রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কার্যত ধমকের সুরেই  পশ্চিমবঙ্গ অচল করার ডাক দেয়।  ভোট রাক্ষসের দাবিও তোলে বিরোধী দল বিজেপি।  এমএলএ হোস্টেলে বিজেপির কিছু এম এল এ কে বের হতে না দেওয়ার ও অভিযোগ শোনা যায় সেই সব এমএলএ রা এমএলএ হোস্টেল এর গেটের সামনেই ধরনায় বসে।  সল্টলেকের বাড়িতে পুলিশ দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী কে আটকানোর কথা শোনা যায়।  শাসক দল শুভেন্দু অধিকারী কে বহিরাগত বলে আক্রমণ শানিয়ে তাকে ঘরে আটকে রাখার কথা বলেছে বলে অভিযোগ আনে বিজেপি।  পাঁচবারের বিজেপি  কাউন্সিলর মিনা দেবী পুরোহিত কে  হেনস্তার অভিযোগ তোলে বিজেপি তৃণমূলের বিরুদ্ধে।  যদিও সবকিছু খতিয়ে দেখার কথা জানায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জি বলেন দল এবং প্রশাসন খতিয়ে দেখে শাস্তির ব্যবস্থা করবে পুর  ভোট কলকাতার নিদর্শন শুধু নয় সারা ভারত বর্ষকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে শান্তিপূর্ণ এবং গণতান্ত্রিক ভোট এক মাত্র কলকাতাতেই হয় তিনি ত্রিপুরার প্রসঙ্গ টেনে বলেন আগরতলায় পার্টি সং ভোট দিতে পারেনি কাজেই সকলেই দেখতে পাচ্ছেন গণতান্ত্রিক উৎসব একমাত্র কলকাতা কথা পশ্চিমবঙ্গেই সম্ভব।  তিনি বলেন ১০০শতাংশো তারাই জিতছে।  মোটের উপর শান্তিপূর্ণ হয়েছে নির্বাচন।  যদিও বিরোধী দলগুলি একযোগে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ নিয়ে আসছে।  সকাল নটা অবধি ছিল ১০.৮৬ শতাংশ ভোটের হার,  সকাল ১১ টা অবধি  ছিল ১৮.৫১ শতাংশ,  দুপুর একটায় ছিল ৩৬.৫০ শতাংশ,  দুপুর তিনটে ছিল ৫২.১৭ শতাংশ,  সর্বশেষ পাঁচটায় গিয়ে দাঁড়ায় ৬৩.৩৭ শতাংশ।  যদিও কলকাতার ক্ষেত্রে খুব একটা অসাধারণ ভোটের হার নয় কারণ বিশেষজ্ঞরা বলছেন কলকাতার মানুষ ভোট বিমুখ হয়ে পড়ছে কার জন্য সেটা এখন খুঁজে বের করতে হবে অডিও বিশেষজ্ঞরা দাবি করেন এর দায় পুরোপুরি সব রাজনৈতিক দলগুলির মানুষ রাজনৈতিক দলগুলির কর্মকাণ্ড তে  অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।  এমন চলতে থাকলে গণতন্ত্রের ক্ষতি তাই রাজনৈতিক দলগুলিকে আরো ওয়াকিবহাল থাকতে হবে এইসব বিষয়গুলি কে নিয়ে দলাদলি হানাহানিতে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে ভোট কেন্দ্রমুখী হচ্ছে না  একে অপরকে কাদা ছোড়াছুড়ি করে গণতন্ত্রকে বাঁচানো যাবেনা প্রথমেই ঠিক হতে হবে নেতাদের জনগণের নেতা হয়ে উঠতে হবে রাজনীতিতে ভালো নেতার অভাব হয়ে দাঁড়াচ্ছে নিজেদের ভাবমূর্তি কে জনগণের সামনে আরো ভালো ভাবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে বিভিন্ন পরিবারের পরিবারতন্ত্র তেও সবাই অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।  মানুষ যা বলছে তা কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে যে কাউন্সিলররা এখন টাকা তৈরীর মেশিন হয়ে উঠেছে উপার্জনের জন্যই তারা এখন কাউন্সিলর পদের জন্য হানাহানি শুরু করেছে একই পরিবারের বাবা ছেলে মেয়ে পাশাপাশি তিনটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হয়েছে এবং তাদের হলফনামায় চোখে পড়ছে বিশাল টাকার মালিক তারা হয়ে উঠেছে এমন চলতে থাকলে ভোট দিতে আপামর কলকাতাবাসী আর যাবেনা গত বিধানসভা নির্বাচনে কলকাতার ভোটের হার কম হয়েছিল তখন থেকেই আমাদের কাগজে এই বিষয়ে লেখালেখি হয়েছে কিন্তু কোনো নেতাই সেগুলি দেখেননি বা এড়িয়ে চলেছেন গণতন্ত্র যদি গঙ্গায় বিসর্জন হয়ে যায় তার প্রধান দায়িত্ব কাঁধে নিতে হবে কিন্তু সকল রাজনৈতিক দলকে।  কাশিপুর থেকে শুরু করে দক্ষিণ কলকাতার বিভিন্ন ভূত কার্যত ফাঁকা চোখে পড়েছে আমাদের।  যদিও কমিশনের ব্যবস্থা নিয়ে ভোটাররা সন্তুষ্ট। 

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Exit mobile version