Saturday, November 23, 2024
spot_img

আন্তজার্তিক স্বীকৃতি পেল গবেষণার জন্য সোনারপুরের এক তরুণ গবেষক

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়নগর : এবার সোনারপুরের এক গবেষক আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেল।আর এই খবরে গবেষকের পরিবারের লোক সহ সোনারপুরে বাসিন্দারা সবাই আনন্দে আত্মহারা। গবেষণার জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেলেন সোনারপুরেরঅধ্যাপক। স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির তরফে প্রতি বছরই পৃথিবীর সমস্ত গবেষকদের গবেষণা পত্র থেকে বাছাই করা দুই শতাংশ গবেষকের নাম প্রকাশিত হয়। সেই তালিকাতেই এই বছর জায়গা পেয়েছেন নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মভূমি সোনারপুরের কোদালিয়ার বাসিন্দা সন্তু দে। আসানসোলের বিধান চন্দ্র কলেজের অধ্যাপক সন্তু তাঁর ম্যাথামেটিকাল ফিজিক্সের উপর বিশেষ গবেষণা পত্রের জন্য এই স্বীকৃতি পেয়েছেন।দীর্ঘ দিন ধরে শুধু মাএ দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করে বড় হয়েছেন সন্তু। বরাবরই মেধাবী ছাত্র ছিলেন তিনি।স্কুলে বরাবর তিনি প্রথম হয়েছেন। স্কুল পেরিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অংকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাশ করেছেন।আইআইটির ডাক উপেক্ষা করে যাদবপুর থেকেই পিএইচডি করেছেন। বলা বাহুল্য, এরআগে ২০২৩ সালে স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির তরফে বিদ্যাসাগর বিশ্ব বিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ছয় অধ্যাপক ও গবেষক আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়ে ছিলেন। এরপর ফের বাংলার অধ্যাপক পেলেন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। আর তাতেই বিশ্ব দরবারে উজ্জ্বল হল বাংলার নাম। এত কম বয়সে গোটা ভারতেই এমন স্বীকৃতি খুব কম মানুষই পেয়েছেন। সন্তু পড়াশোনায় বরাবরই ভালো ছিল। ও গরিব বাড়ির সন্তান। বাবা-মায়ের নিরলস প্রয়াসেই সন্তুর এই সাফল্য।সে অনেক গুলি IIT-তেই PHD-র জন্য ও সুযোগ পেয়ে ছিল। কোনওটায় না গিয়ে যাদবপুরকেই বেছে নিয়েছিল। বাংলা ছেড়ে সে যেতে চায়নি। আর আজ তাঁর এই স্বীকৃতি  বাংলার মানুষের কাছে গর্বের।সন্তুর সাফল্যে খুশি তাঁর বাবা, মা, দাদা থেকে শুরু করে ছোটবেলার স্কুলের শিক্ষক ও। সকলেরই আশা আন্তর্জাতিক স্তরে আরও সাফল্য পাবে সন্তু।দারুণ এই সাফল্য পেয়ে স্বভাবতই খুশি সন্তু নিজেও। তিনি বলেন, এই স্বীকৃতি পাবো আমি ভাবিনি।আমি আগামী দিনে আমার এই গবেষণার কাজকে আরও অনেকদূর পর্যন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Stay Connected

1,231FansLike
10FollowersFollow
4SubscribersSubscribe
- Advertisement -spot_img

Latest Articles