(জেলা-মুর্শিদাবাদ)
দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের অধীন বিএসএফ কর্মীরা ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তে তাদের দায়িত্বের এলাকা থেকে ৪৩,০৫,২৪৬/- টাকা মূল্যের ০৬ টি সোনার বিস্কুট সহ একজন চোরাকারবারীকে আটক করেছে।
ঘটনাটি ০৩ মে, ২০২৩ তারিখে বিএসএফের সীমা চৌকি অ্যাট্রোসিয়া, ৩৫ ব্যাটালিয়ন এলাকায় ঘটে। গোয়েন্দা বিভাগ কর্তব্যরত জওয়ানদের জানায় যে এক চোরাকারবারী কৃষকের ছদ্মবেশে তাঁর কাঁটার ওপারে তার জমিতে কাজ করতে গেছে এবং ফেরার সময় সে সোনার বিস্কুট নিয়ে আসবে। তারপরে, প্রায় বিকেল ০২০০ টার সময় জওয়ানরা একটি সন্দেহজনক ট্রাক্টর চালককে তার জমি থেকে আসতে দেখে। চালক কাছে আসলে জওয়ানরা HHMD দিয়ে তাকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তল্লাশি করে এবং মেশিন থেকে সন্দেহজনক বিপ আওয়াজ শোনা যায়। জোয়ানরা সঙ্গে সঙ্গে চালককে ট্রাক্টর থেকে নামিয়ে সীমান্ত চৌকিতে নিয়ে আসে। সীমান্ত চৌকিতে কঠোর জিজ্ঞাসাবাদে চোরাকারবারি জানায়, তার শরীরের পেছনের অংশে ০৬টি স্বর্ণের বিস্কুট রয়েছে। এর পরে, জওয়ানরা পাচারকারীকে এমএমসিএইচ, বহরমপুর হাসপাতালে নিয়ে আসে যেখানে ডাক্তারদের দল পাচারকারীর এক্স-রে রিপোর্ট নেয়। রিপোর্টে তার (রেকটাম) হলুদ রঙের ধাতু দেখা গেছে। চিকিৎসকের দল তার মলদ্বার থেকে ধাতু বের করলে ০৬টি সোনার বিস্কুট পাওয়া যায়। ধৃত পাচারকারীর নাম আব্দুস সামাদ, জেলা মুর্শিদাবাদ।
জিজ্ঞাসাবাদে চোরাকারবারী জানায়, এই সোনার বিস্কুটগুলো তাকে করিম (৩০), জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ, বাংলাদেশ দিয়েছে এবং চোরাকারবারী জকারিয়া (৩২) এর কাছে হস্তান্তর করতে যাচ্ছিল।
এর পরে, জওয়ানরা কাস্টম অফিস, লালগোলায় পৌঁছে পাচারকারীর মেডিকেল রিপোর্ট এবং সোনা সহ তাকে হস্তান্তর করে।
সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের মুখপাত্র বলেন, চোরাকারবারীরা নতুন নতুন উপায়ে পাচারের চেষ্টা করে। কিন্তু বিএসএফ জওয়ানদের সতর্কতা এবং বোঝাপড়ার কারণে চোরাকারবারীরা ক্রমাগত ধরা পড়ছে এবং তাদের পরিকল্পনা প্রতিনিয়ত নস্যাৎ করা হচ্ছে। জওয়ানদের এত বড় সাফল্যে তিনি খুশি প্রকাশ করেছেন ।
বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স সীমান্তে বসবাসকারী লোকদের কাছে আবেদন করে যে যদি তাদের নজরে সোনা চোরাচালান সম্পর্কিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়, তাহলে তারা বিএসএফের সীমা সাথী হেল্পলাইন নম্বর ১৪৪১৯ এ যোগাযোগ করতে পারেন। এ ছাড়া দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তে আরও একটি নম্বর ৯৯০৩৪৭২২২৭ জারি করেছে, যাতে সোনা চোরাচালান সংক্রান্ত তথ্য হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ বা ভয়েস মেসেজ করে পাঠানো যাবে। সঠিক তথ্য প্রদানকারী ব্যক্তিকে উপযুক্ত পুরস্কারের অর্থ প্রদান করা হবে এবং তার পরিচয় গোপন রাখা হবে।