নিজস্ব প্রতিনিধি : এক সময় প্রচার ছিল তিনি বেহালার রূপকার। বাম আমলে অবশ্য এই খেতাব ছিল বিধায়ক নির্মল মুখার্জীর সময় বদলেছে। সে রাম রাজ্য থুড়ি পার্থবাবুর সে সাম্রাজ্য আর নেই। যদিও বেহালা ম্যান্টনের পথের ধারে বিধায়কের অফিসটি রয়ে গেছে। বেহালার অধিকাংশ ক্লাব একসময় একদা শিক্ষা মন্ত্রী পরবর্তী কালে শিল্প মন্ত্রী এবং বর্তমানে ইডির কারাবন্দী পার্থবাবুর কৃপা ধন্য ছিল। ১৩০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল টিভির পর্দায় টাকার পাহাড় দেখে তারা বাক্রুদ্ধ। ভাবতেই পারছেন না এমনটি সম্ভব। এমনকি কোনও কোনও স্থানীয় দোকানদার যারা একসময় পার্থদা বলতে অজ্ঞান ছিলেন তারাও তীব্র বিদ্বেষ ও ঘৃণা পোষণ করতে শুরু করেছেন পার্থ-অর্পিতা জুটিকে। ১৩২ নম্বরের একটি ক্লাবের সান্ধ্য আড্ডায় এই প্রসঙ্গ তুলতেই নানা রঙ্গ রসিকতা ভেসে এলো। বোঝা গেল এবারের বেহালার বিভিন্ন দুর্গা মণ্ডপে সেই জৌলুস আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। অধিকাংশ মণ্ডপই একসময় পার্থময় ছিল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পর্ণশ্রীর আর এক ভোটার সরাসরি দাবি জানালেন পার্থ চ্যাটার্জী দুর্নীতির চড়ায় বসে আছেন অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রীর উচিত তাকে পদচু্যত করা। সকালে ওই তণমূল কর্মী বলার পরই বিকেল বেলা জানা গেল পার্থবাবু তণমূলের আর কেউ নন। সারদা-নারদা ঝড় সামলে বেহালা পশ্চিম ৫০ হাজারেরও বেশি ভোটে নিকটতম বিজেপি প্রার্থী অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চ্যাটার্জীকে পার্থবাবু হারিয়েছিলেন। বেহালাবাসীর কাছে পরিহাস পূর্ব-পশ্চিম দুটি বিধানসভার দুই বিধায়কই তাদের ভাবমূর্তি খুইয়ে বসে আছেন। আর পার্থবাবু ৫০ কোটির ধাক্কায় আর ফিরে আসতে পারবেন না বলেই একদা তারই ভোটাররা মনে করেন।