নিজস্ব প্রতিনিধি: বর্ষার একটু বৃষ্টি হলেই সেই বৃষ্টির জল জমে বিপর্যস্ত অবস্থায় পড়তে হয় বেহালা পশ্চিমের একাংশ, বরো – ১৫ গার্ডেনরিচ এলাকার একাংশ এবং মহেশতলা পেীরসভার একাংশের মধ্যে রয়েছে ৯ থেকে ১৪ নম্বর ওয়ার্ড এবং অন্য কয়েকটি ওয়ার্ডের একাংশের বাসিন্দাদের। বৃষ্টির জমা জলের নিকাশি ব্যবস্থার সুষ্ঠু রূপায়ণ না থাকার কারণেই বর্ষার বৃষ্টিতে বহু বাড়ির একতলার ঘরে বৃষ্টির জমা জল ঢুকে পাঁচ থেকে সাতদিন স্থির অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকে। আধুনিক ভূগর্ভস্থ নিকাশি নালা কেইআইআইপি প্রকল্পের কাজের সম্পূর্ণ রূপায়ণ হওয়া সত্ত্বেও বেহালা পশ্চিমের ১২৮, ১২৯ ও ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের একাংশ থেকে দীর্ঘ চার – পাঁচ বছর ধরে এই সমস্ত এলাকাবাসী কাছ থেকে জমা জলের অভিযোগ আসছিল। তা – ই ওই সমস্ত এলাকার জল নিকাশি ব্যবস্থা ও মণিখালের দুই তীর ভূমির বর্তমান অবস্থা খতিয়ে দেখতে দক্ষিণ শহরতলি লাগোয়া মহেশতলা পেীরসভার অন্তর্গত পাহাড়পুর-বিধানগড়ের কাছে কলকাতা পুরসংস্থার সুয়্যারেজ অ্যান্ড ড্রেনেজ দফতরের অন্তর্গত ‘সন্তোষপুর মেইন পাম্পিং স্টেশন’ ( বি.ডি.পি.এস.) ১৩ জুলাই পরিদর্শনে আসেন কলকাতা পুরসংস্থার প্রশাসক পর্ষদের নিকাশি দফতরের সদস্য তারক সিং, ১৫ নম্বর বরোর কো-অর্ডিনেটর রণজিৎ শীলসহ কলকাতা পুরসংস্থার ইঞ্জিনিয়ার ও এই দফতরের আধিকারিকরা। সুত্রের খবর, মহেশতলার সন্তোষপুর মেইন পাম্পিং স্টেশন থেকে দৈর্ঘ্যে প্রায় চার কিলোমিটার সন্তোষপুর বাস চলাচলের রাস্তা বরাবর একটি স্থানীয় খাল ছিল। যেটি স্থানীয় নয়নজুলি পথের পাশে অপরিসর জলনালি নামে পরিচিত। এই নয়নজুলি দিয়ে মহেশতলা, গার্ডেনরিচ ও বেহালা পশ্চিম এরিয়ার বর্ষার জমা জল মণিখাল হয়ে হুগলি নদীতে গিয়ে পড়তো। কিন্তু বর্তমানে সন্তোষপুর মেইন পাম্পিং স্টেশনের সামনে এই নয়নজুলি খালের ওপর বামফ্রন্টের সময়কাল থেকে জবরদখলকারীরা বহু বাড়িঘর ও দোকানপাট তৈরি করেছে সেইসঙ্গে বর্তমানে নয়নজুলির যেটুকু ফাঁকা আছে তাও কিছুদিনের মধ্যে জবরদখল হবে। স্থানীয় নেতৃত্বদের এবিষয়ে কোনও ভ্রূক্ষেপ নেই এবং গার্ডেনরিচ জল প্রকল্পের র-ওয়াটারের থিতিয়ে যাওয়া পলি নয়নজুলিতে জমা হওয়ায় নয়নজুলি কার্যত ভরাট হয়ে গিয়েছে। ফলে কার্যত নয়ানজুলি বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে প্রায় সারা বছরই মহেশতলা পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে থাকে। নয়নজুলি উধাওয়ের ঘটনায় ক্ষুব্ধ তারকবাবু জানান, বছর ২০ আগে বহমান ‘উধাও’ নয়নজুলি পুনঃখননের জন্য কলকাতা পুরসংস্থার উদ্যোগে এই জায়গায় মাটির নিচে দিয়ে কিভাবে অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে খাল তৈরি করে বেগোর খালের জল, মহেশতলার জমা জল ও গার্ডেনরিচ এলাকার জমা জলের নিকাশি ব্যবস্থা করা যায়। সেজন্যই আমাদের এই পরিদর্শন। আর এই সন্তোষপুর পাম্পিং স্টেশনেটা দেখে গেলাম তিন পাম্পের মধ্যে দু’টি চালু রয়েছে আর ১০ – ১২ দিনের মধ্যে তিন নম্বর পাম্পটিও চালু করার ব্যবস্থা হচ্ছে।