দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের অধীনে সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী শনিবার রাতে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার সীমান্তবর্তী এলাকাথেকে তিন বাংলাদেশি নাগরিককে এক ভারতীয় দালালসহ গ্রেপ্তার করেছে। যাদের পরিচয়নিম্নরূপ:-
i ) মোহাম্মদ আলম, বয়স ২৩ বছর, পিতা – হানিফ বাপারি, গ্রাম – কুলারগা, থানা – হিজলা, জেলা – বরিশাল, বাংলাদেশ।
ii) মোহাম্মদ সুমন, বয়স ২৭ বছর, পিতা- মোহাম্মদ জিন্নাহ, গ্রাম- কস্তোগার, থানা- কালকিনি, জেলা- মাদারীপুর, বাংলাদেশ।
iii) মনোয়ারা, বয়স ৩৬ বছর, স্বামী – ইসরাফীল শেখ, গ্রাম – নবোরন, থানা – সরসা, জেলা – যশোর, বাংলাদেশ,
iv) চন্দন মণ্ডল, বয়স ৩৮ বছর, পিতা – চিত্তরঞ্জন মণ্ডল, গ্রাম – গজনা, থানা – হংসখালী, জেলা – নদিয়া, পশ্চিমবঙ্গ।
০৩ রা জুলাই, ২০২১,সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী কর্তৃক জারি করা একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে সীমান্তের অ্যান্টি-হিউম্যান ট্র্যাফিকিং ইউনিট কর্তৃক সীমান্ত চৌকি মহেন্দ্র এলাকা দিয়ে তিন থেকে চার জন ব্যক্তির সীমান্ত পার করার তথ্যের ভিত্তিতে সুরক্ষা বাহিনীর জওয়ানরা নমোপাড়া গ্রামের কাছে আমের বাগানে একটি বিশেষঅভিযান চালানো হয়। রাত্রি আনুমানিক সাড়ে ১০ টার দিকে জওয়ানরা একটি অটোরিকশা আসতে দেখে , যা পূর্ব তথ্য অনুসারে চিহ্নিত হওয়ার পরে তাদের থামানো হয় , এবং তদন্তের সময়, তিন যাত্রী এবং চালকের কেউই সন্তোষজনক উত্তর দিতে না পারায় তাদের সবাইকে আরও তদন্তের জন্য সীমান্ত চৌকি মহেন্দ্র তে নিয়ে আশা হয় ।
আরও তদন্তের পরে, মোহাম্মদ আলম ও মোহাম্মদ সুমন প্রকাশ করেছে যে তারা বাংলাদেশের বাসিন্দা, এবং ছয় মাস আগে তারাবঅবৈধভাবে ভারতে এসেছিল এবং তামিলনাড়ুর ত্রিপুর শহরে , (ইউনিট VII, ২ / ৩৬০ এ, ক্লাসিক গার্ডেন, পেরিয়েন্ডি পলায়াম, পিন৬৪১৬৮৭ ) এ কাপড় সেলাইয়ের কাজ করতো যার পরিচয়পত্র উভয়ের সাথে রয়েছে। তারা আরও প্রকাশ করেছে যে আরও প্রায় ২০০ বাংলাদেশী নাগরিক ওই মিলটিতে অবৈধভাবে কাজ করছে এবং ত্রিপুরায় আরও তিন থেকে চারটি কাপড়ের মিলের সন্ধান পাওয়া গেছে, যেখানে প্রায় সব শ্রমিকই বাংলাদেশী নাগরিক। যারা অবৈধভাবে ভারতে এসেছে, তার পাশাপাশি তারা জানিয়েছে যে তারা যেখানে কাজ করে সেখানে তাদের ভারতীয় জাল পরিচয় সম্পর্কিত নথিও তৈরি করা হয়েছে। তারা আরও বলেছে যে আজ তারা ভারতীয় দালাল সাগর বিশ্বাস এবং তার সহযোগী ময়নুল, মমিনুর, এবং চন্দন মন্ডলের সহায়তায় বাংলাদেশে ফিরে যাচ্ছিল এবং তারা সাগর বিশ্বাসকে সীমান্ত পেরোনোর জন্য ১৮০০০ / – টাকা দিয়েছে।
মনোযারা জানিয়েছে যে সে দু’বছর আগে ভারতে এসেছিলো এবং মুম্বাইয়ের কল্যাণে দাসী হিসাবে কাজ করতে এবং আজ ভারতীয় দালাল সাগর বিশ্বাসের সহায়তায় বাংলাদেশে ফিরে যাচ্ছিলো, যার জন্য সে সাগর বিশ্বাসকে ৩০০০ / – টাকাও দিয়েছিলো।
ভারতীয় ব্যাক্তি চন্দন স্বীকার করেছে যে বিগত দুই বছর ধরে সে তারকনগর গ্রামের বাসিন্দা সাগর বিশ্বাসের সাথে মিলে তার অটোরিকশায় করে আন্তঃসীমান্তে যাত্রীদের তুলে নিয়ে যেত, এবং নিয়ে আসার কাজ করতো যার জন্য সে ভাড়া হিসাবে ৪০০ টাকা পেত। সে আরও বলেছে যে সাগর বিশ্বাস দীর্ঘদিন ধরে আন্তঃসীমান্ত অপরাধে জড়িত এবং অনেকবার পুলিশ সাগর বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিদের আরও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য থানা হানসখালীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
শ্রী বি মধুসূদন রাও,
৮৮ তম ব্যাটালিয়ন এর কমান্ডিং অফিসার বলেছেন যে সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশ রোধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। যার কারণে অনুপ্রবেশকারী এবং দালালদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করছে । যার ভিত্তিতে এটি দেশের অভ্যন্তরীণ অঞ্চলে অবৈধভাবে আগত ব্যক্তি এবং সংঘর্ষের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণে সহায়তা করে।