নদিয়া জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় শনিবার সন্ধ্যায় সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করার সময় একজন ভারতীয় নাগরিক এবং এক বাংলাদেশি মহিলাকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির নাম জয়কান্ত চন্দ্র রায়, বয়স ২৪ বছর, পুত্র – নোলিনী কান্ত, গ্রাম – বল্লভপুর, থানা – শান্তিপুর, জেলা – নদীয়া, পশ্চিমবঙ্গ, এবং মহিলার পরিচয় পরিণীতি (কাল্পনিক নাম), বয়স ১৮বছর, থানা – নেরাইল, বাংলাদেশ। ২৬শে জুন, ২০২১, শনিবার সন্ধ্যায় বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের গোয়েন্দা শাখার তথ্যের ভিত্তিতে ৮২ ব্যাটেলিয়ন সীমা চৌকি মধুপুরের দায়িত্বপ্রাপ্ত জওয়ানদের সতর্ক করা হয়। বিকাল আনুমানিক সোয়া ৪ টের দিকে, জওয়ানরা সীমান্তের রাস্তায় দু’জনকে দেখতে পায় । তাদের দাঁড় করিয়ে পরিচয় জিজ্ঞাসা করা হলে ব্যক্তিটির পরিচয় ভারতীয় হিসাবে চিহ্নিত হয় , যদিও মহিলা তার পরিচয় প্রকাশ করতে পারেনি। বিষয়টি সন্দেহের পরিপ্রেক্ষিতে উভয়কেই আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সীমান্ত চৌকি, মধুপুরে আনা হয় ।
জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায় যে তারা দুজনেই স্বামী-স্ত্রী। তাদের ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়েছিলো । জয়কান্ত চন্দ্র জানিয়েছে যে, সে তারকনগরের অপু নামে এক দালালের সহায়তায় ২০২১ সালের ৮ ই মার্চ বাংলাদেশে গিয়েছিলো এবং সেখানে ১০ ই মার্চ সে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয় এবং তারপরে ২০২১ সালের ২৫ শে জুন পর্যন্ত সে বাংলাদেশে থাকে । অন্যদিকে, পরিণীতি (কাল্পনিক নাম) তার বিবৃতিতে বলেছে যে সে বাংলাদেশের বাসিন্দা এবং স্বামীর সাথে ভারতে যাচ্ছিলো । তারা আরও জানায় ,যে সীমান্ত পেরোনোর জন্য তারা রাজু মন্ডল নামে এক বাংলাদেশী দালালকে দশ হাজার বাংলাদেশি টাকা দিয়েছে। প্রেমের কাহিনীটি নিশ্চিত হয়
৮২ ব্যাটেলিয়ন এর কমান্ডিং অফিসার শ্রী সঞ্জয় প্রসাদ সিংহ বিবৃতিতে বলেছেন যে গ্রেপ্তারকৃত পুরুষ ও মহিলাকে বিএসএফের গোয়েন্দা শাখা জিজ্ঞাসাবাদ করার পর বিষয়টি পুরোপুরি প্রেমের সম্পর্ক হিসাবে নিশ্চিত হয় ।যার মধ্যে ভারতীয় ব্যক্তি দ্বারা আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে গিয়ে বিয়ে করার বিষয়টি সামনে এসেছে। শ্রী সঞ্জয় প্রসাদ বলেছেন যে মানব পাচারকারীরা প্রায়শই নতুন পদ্ধতি অবলম্বন করে নিরীহ মেয়েদের ফাঁদে ফেলে তাদের পতিতাবৃত্তির জলে ফাঁসিয়ে দেয় । যে কোনও ধরনের মানব পাচার রোধে দক্ষিণ বঙ্গ ফ্রন্টিয়ার সীমান্তে অ্যান্টি হিউম্যান ট্র্যাফিকিং ইউনিট মোতায়েন করেছে । বিএসএফ সব দিকে নজর রেখে চলছে। যাতে দরিদ্র ও নিষ্পাপ মেয়েদের জীবন এই মানব পাচারীদের হাতে না পড়ে।