Wednesday, July 3, 2024
spot_img

করোনা আর পরিক্ষার যুদ্ধে জিতল করোনা

নিজস্ব প্রতিনিধি: সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করলেন এই বছরের মতো বাতিল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। তিনি এ বিষয়ে নির্ণয় নেওয়ার জন্য একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করেছিলেন যারা সব বিষয় বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন গতকাল ৬ জুন ২০২১ তারিখে সেই কমিটি থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয় সেখানে বলা হয়েছিল পরীক্ষা হওয়া এবং না হওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে আপামর রাজ্যবাসী পরীক্ষার্থী অভিভাবকরা বিশেষত সিদ্ধান্ত জানাতে পারবে তিনটি ইমেল নম্বরের মাধ্যমে। আজ দুপুর দুটো অবধি প্রায় ৩৪ হাজার ইমেল জমা পড়েছে যেখানে বেশিরভাগই পরীক্ষা না হওয়ার পক্ষে এসেছে প্রায় ৮০ শতাংশ পরীক্ষা না হওয়ার পক্ষে রায় দিয়েছেন জনগণ। এবং তাই সিদ্ধান্ত হয়েছে পরীক্ষা না নেওয়ার এবং কিভাবে ছাত্র-ছাত্রীরা পাস করবে মূল্যায়ন কীভাবেই বা হবে তা ৭ দিনের মধ্যে বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্যরা ঠিক করে ফেলবেন এমনটাই জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী । তবে বেশিরভাগ পরীক্ষার্থীদের প্রশ্ন সঠিক মূল্যায়ন হবে কিনা সে বিষয়ে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল দেখি পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ নির্ণয় হয় কিন্তু এ বছর টা কিরকম ভাবে সম্ভব সেই নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা। এছাড়াও বিশেষজ্ঞ মহল বলছেন কোন মাস্টার প্ল্যান বানিয়ে যদি পরীক্ষা নেওয়া যেত তাহলে ভালো হতো। অপরদিকে করোনা মহামারী ভ্রুকুটি ও ভাবাচ্ছে করুণা এবং শিক্ষার দড়ি টানাটানি তে জয় পেল করোনা মহামারী। অনেকেই আবার বলছেন যদি সমস্ত বিধি-নিষেধ মেনে নির্বাচন হতে পারে তাহলে পরীক্ষা কেন নয় দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এমনভাবে হেলাফেলা করা মোটেই উচিত নয়। তবে শিক্ষকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গিয়েছে কিছু জন পরীক্ষার পক্ষে সাওয়াল করলেও অনেকেই আবার অতি মাড়ির ভ্রুকুটি কে বিশেষভাবে দৃষ্টি দিয়ে দেখছেন জীবন আগে পরীক্ষা পরে বলেও অনেকে বলছেন। অনেকেই বলছেন ছাত্র-ছাত্রীদের একটি বছর ক্ষতি হলেও আসছে বছর দুই ক্ষেপে এই বছরের এবং পরবর্তী বছরের পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে সে বিষয়েও অনেকের অভি মদ পাওয়া যাচ্ছে কিন্তু আবার আসছে বছর এমন কোন অতি মাড়ির ঢেউ আসবেনা দাও হলফ করে বলা যাচ্ছে না। তবে যাতে ঠিকঠাক মূল্যায়ন করা যায় সে বিষয়েও আরতি নজরদারির কথা বলছেন সকলে। কিছু কিছু অভিভাবকদের মত হলো এডমিট কার্ড দেখে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের প্রথম দফার ভ্যাকসিন দিয়ে পরীক্ষা করানো যেতে পারত কারণ ইতিমধ্যেই শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রথম দফার ভ্যাকসিন প্রদান প্রায় শেষের পথে। শুধু প্রথম ভ্যাকসিন নয় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যে বেশিরভাগ দ্বিতীয় ভ্যাকসিন পেয়ে গিয়েছে কারণ অনেকেই ভোটের কাজ করেছিল এবং সেই সময় ভ্যাকসিন নেওয়া হয়ে গিয়েছিল। কেউ কেউ আবার বলছেন ভোটের সময় যদি করুণা আক্রান্ত নিদৃষ্ট সময় গিয়ে ভোট দান করতে পারে তাহলে পরীক্ষার সময় অনেকভাবেই পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব যারা একান্তই পারবেনা তাদের জন্য বিভিন্ন খেপের প্রশ্নপত্র করে পরবর্তীকালে পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে কারণ শিক্ষাকে কোনদিনও অবহেলা করা যায় না। তবে পরীক্ষা বাতিল হওয়ায় কিছু কিছু পরীক্ষার্থীদের মধ্যে আনন্দ-উদ্দীপনা চোখে পড়ছে। শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দেওয়া আমাদের প্রথম কর্তব্য সঠিক মূল্যায়ন সম্ভব হবে কিনা তা নিয়েও সন্দিহান দেখা দিয়েছে বিশেষজ্ঞ মহলে। চাকরির সময় এইসব ছেলে মেয়েরা ঠিকভাবে চাকরি পেতে পারবে কিনা তা নিয়েও বিভিন্ন মহলের প্রশ্ন উঠেছে।অনেকে আবার এও বলছেন সরকার আগে থেকেই ঠিক করেছিল পরীক্ষা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত কিন্তু রাজনৈতিক কারণবশত তা ঘোষণা করতে পারছিল না তাই জনগণের থেকে জানার পন্থা অবলম্বন করে এবং পন্থা যে কতটা সঠিক হল তা নিয়েও প্রশ্ন উঠে আসছে কারণ বক্তব্য যারা পরীক্ষার্থীরা তাদের অভিভাবক নয় তারাও হয়তো ইমেইল পাঠিয়েছে তারা পরীক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের দায়িত্ব নেবে তো প্রশ্ন উঠে আসছে।

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Stay Connected

1,231FansLike
10FollowersFollow
4SubscribersSubscribe
- Advertisement -spot_img

Latest Articles