Sunday, November 24, 2024
spot_img

যশের তান্ডব,নদীবাঁধ ভেঙে প্রবল জলোচ্ছ্বাস,সুন্দরবনের গভীর জঙ্গল থেকে বেরিয়ে এল বাঘ,হরিণ

সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং– প্রবাদে আছে ‘রাখে হরি মারে কে?’ সেই প্রবাদ বাক্য আরও একবার প্রমাণিত হল। যশ নামক ঝড় ও প্রবল জলোচ্ছ্বাসে জলে স্রোতে সু্ন্দরবনের গভীর জঙ্গল থেকে ভেসে বেরিয়ে এল হরিণ। আবার সুন্দরবনের প্রায় সমস্ত নদীর বাঁধ ভেঙে জলোচ্ছ্বাসে আস্তানা হারিয়ে প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে সুন্দরবনের গভীর জঙ্গল থেকে বেরিয়ে এল বাঘ।দুটি ঘটনা ঘটেছে বুধবার দুপুরে।পাখিরালয় জঙ্গল থেকে নদীতে ভেসে এল হরিণ আর অপর দিকে কুলতলির মৈপিঠ এলাকায় বেরিয়ে পড়লো বাঘ।এদিন সকাল থেকেই ঝড়ো হাওয়া বইতে শুরু করে। একদিকে পূর্ণিমার ভরা কোটাল আর অপর দিকে যশ এর তান্ডব। দুইয়ের মাঝে পড়ে সুন্দরবনের সাধারণ মানুষ থেকে পশু পাখি আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। নদীতে প্রবল জলোচ্ছ্বাসে আস্তানা হারিয়ে নদীর জলে ভেসে আসে একটি হরিণ। মুহূর্তে ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে হরিণটি কে উদ্ধার করে বারুইপুর পুলিশ জেলার গোসাবা থানার পুলিশ। বর্তমানে হরিণ টি সুস্থ রয়েছে।অক্ষত অবস্থায় হরিণ টি কে সুন্দরবন ফরেষ্ট রেঞ্জের হাতে তুলে দিয়েছে গোসাবা থানার পুলিশ। প্রাকৃতিক দুর্যোগ কমলে হরিণটি কে সুন্দরবনের গভীর জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে বনদফতর সুত্রে জানাগিয়েছে।
অন্যদিকে যশ আছড়ে পড়ে তছনছ করে দিয়েছে সমগ্র সুন্দরবন।প্রবল জলোচ্ছ্বাসে জলমগ্ন সুন্দরবনের জঙ্গলের বিভিন্ন দ্বীপ এলাকা।

জলোচ্ছ্বাসে ভেসে গিয়েছে বাসন্তী,গোসাবা,জীবনতলা ও ক্যানিংয়ের অধিকাংশ এলাকা।
প্রবল জলোচ্ছ্বাসে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গোসাবার কুমীরমারী,সাতজেলিয়া,পাঠানখালি,আমতলি,বেলতলি,বিপ্রদাসপুর,বালি,আমলামেথী,সজনেখালি, পাখিরালয়,। বাসন্তীর চুনাখালি,রামচন্দ্রখালি,হাড়ভাঙ্গী। ক্যানিংয়ের মাতলা ১ ও ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা,ডাবু,নিকারীঘাটা,গোলাবাড়ি,রেদোখালি,জয়রামখালী সহ জীবনতলার আঠারোবাঁকি,হেদিয়া ও মৌখালি এলাকায়। ঝড় মাথায় নিয়ে ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক এদিন সকালে মাতলা নদীর তীরে শ্যামাপ্রসাদ কলোনিতে হাজীর হয়। সেখালে মাতলানদীর জলোচ্ছ্বাসে প্রায় দুশো বাড়িঘর জলের তলায়। সেখানে বিধায়ক নিজেই উদ্যোগ নিয়ে দুর্গতদের উদ্ধার করে স্থানীয় একটি আশ্রয় কেন্দ্রে রেখেছেন। তাদের থাকা ও খাওয়ার বন্দোবস্ত করেছেন।
অন্যদিকে নদীতে প্রবল জলোচ্ছ্বাসে প্রাণ বাঁচাতে এক ছুটে লোকালয়ে ঢুকে পড়লো বাঘ।ঘটনাস্থল কুলতলি থানার অন্তর্গত মৈপিঠ এলাকা।একে ঝড়ের দাপট,তারউপর দোসর হয়েছে বাঘের আতঙ্ক।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবী বুধবার সকালে বাঘ কে ঘুরে বেড়াতে দেখেন কয়েকজন গ্রামবাসী।তখনই ঘটনার কথা বনদফতরকে জানানো হয়।ঘটনাস্থলে বনদফতরের কর্মীরা হাজীর হলেও বাঘের দেখা মেলেনি। তবে বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পাওয়া গিয়েছে।এলাকার মানুষজন রয়েছেন আতঙ্কে।

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Stay Connected

1,231FansLike
10FollowersFollow
4SubscribersSubscribe
- Advertisement -spot_img

Latest Articles