সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং- ধেয়ে আসছে যশ!প্রতিহত করার জন্য যুদ্ধকালীন ভাবেই চলছে সতর্কতা ও প্রস্তুতি।বুধবারই সুন্দরবনের বুকে আছড়ে পড়বে যশ। তার আগেই বুক কাঁপছে গোটা সুন্দরবনবাসীর। চরম চিন্তায় প্রহর গোনা শুরু হয়েছে।ইতিমধ্যে সুন্দরবনের যে সমস্ত নদীবাঁধের অবস্থা সঙ্কটজনক সেই সমস্ত নদীবাঁধ মেরামতি করা কাজ চলছে যুদ্ধকালীন প্রস্তুতিতে।অথচ প্রশাসনের নজর নেই বাসন্তী ব্লকের উত্তর মোকামবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের হাড়ভাঙ্গী গ্রাম।ওই গ্রাম পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে মাতলা নদী। বিগত আয়লা কিংবা আম্ফানেও নদীবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছিল গ্রামের পর গ্রাম।
ওই এলাকার হাড়ভাঙ্গী সুইস গেটের অবস্থা দীর্ঘদিন ধরেই বিপদজনক ছিল।পাশাপাশি প্রায় ৪০ ফুট নদীবাঁধে ফাটল রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ বেশ কয়েকবার শেচ দপ্তরের আধিকারিক এবং পঞ্চায়েত কে জানিয়ে কোন কাজ হয়নি।
বুধবার আছড়ে পড়বে যশ। ভরা কোটালে নদীতে জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। যশ এর দাপট আর জলোচ্ছাসে নদীবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হওয়ার আশাঙ্কা গোটা গ্রাম। এমন ঘটনা ঘটলে হাজার হাজার বিঘা চাষের জমি নষ্ট হবে,মারা যাবে গবাদি পশু। অসহায় হয়ে পড়বে প্রায় পাঁচ হাজার পরিবার।গ্রামের মানুষের এমন দুর্দশার কথা চিন্তা করে এগিয়ে এলেন গ্রামরেই এক শিক্ষিত যুবক খোকন সরদার।মঙ্গলবার সকালে তিনি নিজের উদ্যোগে এলাকার যুবক ভবেন সরদার,চন্দন নস্কর,বাবলু পাত্র,বাপি শিকারী সহ জনাকুড়ি যুবককে আর কোদাল ঝুড়ি সাথে নিয়ে নদীবাঁধ মেরামতি কাজে হাত লাগালেন। প্রায় চল্লিশ ফুট নদীবাঁধ মেরামতি করলেন এদিন দুপুর পর্যন্ত।এই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় নদীবাঁধ মেরামত হওয়ায় এলাকাবাসী খুশি। তাঁদের দাবী স্কুলের বইয়ের পাতায় এক গল্পতে হল্যান্ডের হান্স এর নাম শুনেছিলাম। হান্স নদীবাঁধের গর্তে দীর্ঘক্ষণ হাত ঢুকিয়ে জল আটকে দিয়ে গ্রামবাসীদের বাঁচিয়েছিল।আমরা বাস্তবে বাসন্তী হাড়ভাঙ্গী গ্রামে সেই হান্স এর মতো যুবক খোকন সরদার কে দেখলাম। সে প্রাথমিক ভাবে চল্লিশ ফুট বাঁধ মেরামতি করে প্রায় পাঁচ হাজার পরিবার ঈে উপকৃত করলেন।খোকনের এমন কাজে আমরা গর্বিত। ”
নিজ উদ্যোগে নদীবাঁধ মেরামতি সম্পর্কে খোকন জানিয়েছেন “সরকারী দফতরের একাধিকবার বাঁধ মেরামতির কথা জানিয়ে কোন লাভ হয়নি। ফলে সামনেই বিপদ। বিপদের হাত থেকে গ্রামবাসীদের বাঁচানোর জন্য নিজ উদ্যোগে তড়িঘড়ি বাঁধ মেরামত করার কাজ করা হয়েছে। ”