Sunday, February 23, 2025
spot_img

হাওড়ার আমতায় মর্যাদার সাথে পালিত হলো আবেগভরা একুশে ফেব্রুয়ারী 

দীপংকর মান্না

“একুশে ফেব্রুয়ারি মানে মাতৃভাষা-কে শ্রদ্ধা জানানোর দিন। একুশে ফেব্রুয়ারি মানে বাংলা ভাষা রক্ষার দিন। একুশে ফেব্রুয়ারি মানে ভাষার জন্য শহিদদের সম্মান জানানোর দিন ” এই কথাগুলো বলে তাদের ৪৮তম একুশে ফেব্রুয়ারি শ্রদ্ধার সাথে  শুরু করেন ‘অগ্ৰগতি’ গণ সংগঠনের দুই আহ্বায়ক মুস্তাক আলি মন্ডল ও অতনু মন্ডল।

অগ্ৰগতির কাছে  এবারের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা  দিনটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ, বাংলা ভাষার মুকুটে এসেছে ধ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতি ।তাই বাঙালি ও বাংলা ভাষার জন্য আমাদের অহংকার ও গর্ব।

অন্যদিকে একুশে ফেব্রুয়ারি হাওড়ার আমতা অন্যতম নাম।দিনটি এলেই আমতাবাসীর  মনে ও মননে বারংবার উচ্চারিত হয় বাংলা ভাষা, বাংলা কথা ও বাংলা গান।

সমগ্ৰ বাংলায় প্রথম ভাষা শহিদ স্মৃতি স্তম্ভ স্থাপিত হয় হাওড়ার আমতায়।১৯৯০ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি গর্বের স্মৃতি স্তম্ভটি স্থাপন করেন রসপুর কলিকাতা গ্ৰামের ‘অগ্ৰগতি’ গণ সংগঠন।এর দু’বছর পর ১৯৯৩ সালে কলকাতা ধর্মতলা কার্জন পার্কে স্থাপিত হয় ভাষা স্মৃতি স্মারক ফলক।২০১১ সালে কলকাতার দেশপ্রিয় পার্কে স্থাপিত হয় আরও এক স্মৃতি ফলক।চাকপোতা ‘সংস্কৃতি’ ১৯৭১ সাল থেকেই শুরু করেন বাংলা ভাষা রক্ষার সংগ্ৰাম।১৯৮৬ সালে তাদের ‘আগুনের ফুল’ নামে মুখপত্রে প্রকাশিত হয় ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’ সংখ্যা।

আজও থেমে নেই ‘অগ্ৰগতি’, টানা ৪৮ বর্ষ ধরে তাদের বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষার আন্দোলন অবশ্যই গর্বের। আবেগভরা  একুশে ফেব্রুয়ারি,  আন্তর্জাতিক ভাষা দিবসে আমতা থানার সন্নিকটে ভাষা শহিদ স্মৃতি স্তম্ভের পাদদেশে মিলিত হয় সব স্তরের ভাষা প্রেমী মানুষজন।বিনিত ভাবে পালিত হয় ভাষা  শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও স্মরণ 

শ্রদ্ধা ও স্মরণের পাশাপাশি এবারেও দেখা যায় একুশের প্রদশর্নী। প্রকাশিত হয় স্মারকগ্ৰন্থ। অবশ্যই পালিত হয় মৌনি পদযাত্রা। সমাজের সব স্তরের ভাষা প্রেমী মানুষের উপস্থিতিতে অন্য মাত্রা বহন করে।

এভাবেই  বেঁচে থাকুক ধ্রুপদী বাংলা ভাষা, বাংলা গান ও বাংলা চর্চা। বাংলা ভাষা ছড়িয়ে পড়ুক রাজ্যে রাজ্যে।দেশে দেশে।

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Stay Connected

1,231FansLike
10FollowersFollow
4SubscribersSubscribe
- Advertisement -spot_img

Latest Articles