Home General সুন্দরবনে ২৪ রকমের মুগ ও ১০ রকমের নটের বীজের ওপর হাতে কলমে...

সুন্দরবনে ২৪ রকমের মুগ ও ১০ রকমের নটের বীজের ওপর হাতে কলমে কৃষকদের নিয়ে প্রশিক্ষণ শিবির হয়ে গেল কুলতলিতে

0

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, কুলতলি: সুন্দরবনে ধানের পাশাপাশি লবন সহনশীল বিকল্প চাষে কৃষকদের পাশে এগিয়ে এলো কয়েকটি সংস্থা।হারিয়ে যাওয়া নটে শাকের বীজের ১০ রকম প্রজাতি ও মুগের বীজের ২৪ রকমের প্রজাতির বীজ নিয়ে পরীক্ষা মূলক চাষের কাজ চলছে সুন্দরবনের কুলতলি ও বাসন্তী ব্লকে।আর মুগের এই ২৪ রকম প্রজাতির মধ্যে কোন কোন প্রজাতির চাষ সুন্দরবনে ভালো হতে পারে তা নিয়ে পরীক্ষা মূলক কাজ ও শুরু করেছে নিমপীঠ লোকমাতা রাণী রাসমণি মিশন।তাঁরা হায়দ্রাবাদের ওয়াসান নামে একটি সংস্থা ও বাসন্তীর চম্পা মহিলা সোসাইটির সহায়তায় এই কাজ শুরু করেছে সুন্দরবনের দুটি ব্লকে ।আর শনিবার এই সংস্থাগুলির উদ্যোগে সুন্দরবনের কুলতলি ব্লকের মৈপীঠ ভুবনেশ্বরী গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব মধ্য গুড়গুড়িয়ার বহমুখী ঘুর্ণিঝড়  আশ্রয় কেন্দ্রে  বহু কৃষকদের নিয়ে মুগ চাষ ও নটে শাকের ভ্যারাইটি বীজের ওপর একটি প্রশিক্ষন শিবির হয়ে গেল। যাতে সুন্দরবনের বাসন্তী ও কুলতলি ব্লক থেকে বহু পুরুষ ও মহিলা কৃষক অংশ নেন।এদিন এই শিবিরে মুগ চাষ ও নটে শাকের বিষয়ে কৃষকদের কাছে বিস্তারিত আলোকপাত করেন নিমপীঠ শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রমের কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের কৃষি বিশেষজ্ঞ শ্যামসুন্দর লক্ষ্মণ, হায়দ্রাবাদের ওয়াসন সংস্থার সদস্য শুভদীপ মন্ডল, নিমপীঠ লোকমাতা রানী রাসমণি মিশনের সদস্য দেবীপ্রসাদ রায়, মৃণাল সামন্ত, অশোক হালদার সহ আরো অনেকে।এদিন এই চাষ কিভাবে করতে হবে, কিভাবে মাটির যত্ন নিতে হবে,কতটা পরিমাণ জৈব সার দিতে হবে, রোগ পোকা হাত থেকে কিভাবে ফসলকে রক্ষা করতে হবে তাঁর ওপর বিশদে আলোচনা করা হয়।তাছাড়া এদিন এই এলাকায় মুগচাষের জমিতে গিয়ে কৃষকরা কোন বীজের মুগচাষে গ্রোথ এসেছে অর্থাৎ কোন প্রজাতির মুগ চাষ এই এলাকায় করা উচিত তাঁর ওপর তাদের অভিমত প্রকাশ করেন।চিহ্নিত করেন সেই সব গাছ কে।এব্যাপারে এদিন কৃষি বিশেষজ্ঞ শ্যামসুন্দর লক্ষ্মণ বলেন,গুরুত্ব হীন হয়ে যাওয়া এই ধরনের চাষের প্রতি চাষিদের আগ্রহ বাড়াতে এবং গ্রীষ্ম কালীন মুগচাষের প্রতি কৃষকদের আরো বেশি করে সচেতন করতে হাতে কলমে একটি প্রশিক্ষন শিবির হয়ে গেল।সম্পূর্ণ জৈব উপায়ে এই চাষ করা হচ্ছে বলে এদিন জানালেন লোকমাতা রানী রাসমণি মিশনের সদস্য দেবী প্রসাদ রায়।তিনি বলেন, হারিয়ে যাওয়া এই ধরনের চাষকে ব্যবসায়িক ভাবে চাষ করে কত বেশি মুনাফা আসতে পারে সেদিকে নজর দেওয়া হচ্ছে।লবণ সহন শীল সুন্দরবনে বিকল্প এই চাষের মাধ্যমে কর্মসংস্থান আরও মজবুত হতে পারে।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Exit mobile version