২৪ শে জুন,২০২১ এ ৭৮ ব্যাটেলিয়ন সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর অধীনে, সীমান্ত চৌকি শোভাপুরের জওয়ানরা ১৪৫বোতল ফেনসিডিল আটক করে। এই ফেনসিডিলের বোতলগুলি সীমা চৌকি শোভাপুর, ৭৮ ব্যাটালিয়ন, জেলা মালদা এলাকা দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
২৪ শে জুন, ২০২১এর মধ্যরাত্রি আনুমানিক ১২ টা ৪৫ মিনিট নাগাদ শোভাপুর গ্রামের আনুমানিক ২০ জন চোরাচালানকারী শন ঘাসের জমিতে লুকিয়ে ফেনসিডিলের বোতল পাচার করার চেষ্টা করে এবং সীমান্তের অপর দিকে (বাংলাদেশ) ২০ জনের ও বেশি চোরাকারবারি দাঁড়িয়ে ছিল। ভারতের দিক থেকে আসা পাচারকারীরা জোর করে ফেনসিডিলের বোতলগুলি পাচারের চেষ্টা করে । সমস্ত পাচারকারী লাঠি, লোহার রড, হাই-পাওয়ার টর্চ এবং দা নিয়ে তৈরী ছিল । তবে সীমান্তে নিযুক্ত করা জওয়ানরা চোরাচালানকারীদের পরিকল্পনা ব্যর্থ করে দেয়। এই দৌড়ান এক জওয়ানকে লাঠি দিয়ে চোরাকারবারীরা আক্রমণ করে। যার কারণে উক্ত জওয়ান নীচে পড়ে গেলে , অন্য একজন চোরাকারবারী দা দিয়ে নীচে পড়েথাকা জওয়ানকে আক্রমণ করার চেষ্টা করে। নিজের এবং তার সহযোগীর আত্মরক্ষায় এবং আন্তর্জাতিক সীমান্তের সুরক্ষার জন্য, সীমান্তে নিযুক্ত জওয়ান হাওয়াতে এক রাউন্ড গুলি চালায় যাতে চোরাচালানরা ওখান থেকে পালিয়ে যায় । তবে তা সত্যে ও চোরাচালানকারীরা বিএসএফ জওয়ানদের সাথে আক্রমণ চালিয়ে যায়। তাতে দ্বিতীয় জওয়ান তার সঙ্গী ও তার জানমালের নিরাপত্তায় আরও এক রাউন্ড গুলি চালায় যার কারণে চোরাকারবারীরা তত্ক্ষণাত সেখান থেকে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে কারও গুলিবিদ্ধ হওয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বিএসএফ জওয়ান যদি আত্মরক্ষায় গুলি না চালাতো তাহলে জওয়ানদের জান ও মালের ক্ষয়ক্ষতি হতে পারতো ।
এলাকাটি অনুসন্ধানের পরে ১৪৫বোতল ফেনসিডিল পাওয়া যায় যার বাজার মূল্য ২৭,০৬৪/-টাকা।
এই ঘটনা বৈষ্ণনগর থানায় জানানো হয়েছে এবং বাজেয়াপ্ত ফেনসিডিল থানায় জমা দেওয়া হবে।ঘটনার একটি এফ আই আর নিবন্ধ করা হচ্ছে যাতে আক্রমণকারী চোরাচালানকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায়।