নিজস্ব প্রতিনিধি: সরকারি প্রকল্পের সহায়তায় অনেক ক্ষেত্রেই বিনা পয়সায় চিকিৎসা পরিষেবা মেলে। কাদের জন্য, কোন স্কিমে কী সুবিধা মেলে? চলুল একটু দেখা যাক।
যাঁরা পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা তাঁরাই ’চিফ মিনিস্টার রিলিফ ফান্ডে’র সুবিধা পেতে পারেন। এক্ষেত্রে প্রথমে সাদা পাতায় আবেদন করতে হবে। রোগীর যে রোগের জন্য চিকিৎসা করতে ফান্ডের প্রয়োজন সেই রোগের সমস্ত নথি ও ইনকাম সার্টিফিকেট যুক্ত করতে হবে। সঙ্গে সাংসদ অথবা বিধায়কের সুপারিশ করা চিঠি দিতে হবে। সঙ্গে সাংসদ অথবা বিধায়কের সুপারিশ করা চিঠি দিতে হবে। এই সমস্ত নথির জেরক্স কপিতে গেজেটেড অফিসার দ্বারা অ্যাটেসটেড করিয়ে রাখতে হবে। তারপর সমস্ত নথি নবান্নে অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারির কাছে জমা করতে হবে। নথি জমা দেওয়ার পরে নবান্ন থেকে রোগীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে এককালীন অর্থ দিয়ে রোগীর পরিবারকে সাহায্য করা হবে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছাড়াও হার্টের কোনও জটিল অপারেশন, বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট, কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট ও ক্যানসার অসুখের চিকিৎসাার জন্য আবেদন করতে পারেন।
এবার আসা যাক, ‘প্রাইম মিনিস্টার ন্যাশনাল রিলিফ ফান্ডে’র বিষয়ে ঃ অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম পাওয়া যাবে এই ওয়েবসাইট : www.pmindia.gov.in / pmnrf.gov.in । অ্যাপ্লিকেশনের প্রিন্ট নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তা পাঠাতে হবে। এছাড়াও পাঠাতে হবে রোগীর দু’টি পাসপোর্ট সাইজ ছবি। ঠিকানার প্রমাণপত্রের এক কপি জেরক্স। মেডিকেল সার্টিফিকেট, প্রেসক্রিপশন। ইনকাম সার্টিফিকেটের জেরক্স কপি।
এই তহবিলের সুবিধা যেসব হাসপাতালে মেলে তার নাম ওয়েবসাইটে দেওয়া থাকবে। সেগুলির মধ্যে যেখানে ভর্তি হতে চান রোগীর আবেদনপত্রে তার উল্লেখ করতে হবে। সাধারণত এই ফান্ড যেকোনও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় ব্যবহার করা হয়। এছাড়া এদেশের বাসিন্দা হলে কোনও দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হলে সেক্ষেত্রে এই ফান্ডের জন্য আবেদন করা যেতে পারে। যেমন – হার্টের জটিল অপারেশন, বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট, কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট ও ক্যানসার অসুখের চিকিৎসার জন্য আবেদন করা যেতে পারে।
মিশন ইন্দ্রধনুস : দরিদ্রসীমার নিচে থাকা প্রেগন্যান্ট মহিলা শিশু বিনামূল্যে যেকোনও সরকারি হাসপাতাল থেকে সমস্ত ভ্যাকসিন বা টিকা নিতে পারবেন। সেজন্য যে কোনও অ্যানড্রয়েড ফোনে ‘ইন্দ্রধনুশ’ নামে অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে। এখান থেকে ‘ইমিউনাইজেশন’ বা টিকাকরণের সমস্ত খবর সময়মতো পাওয়া যাবে। এই ধরনের স্কিমের ব্যাপারে বিশদে জানতে কাছাকাছি অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার, ‘আশা’ ( ‘অ্যাক্রিডিটেড সোশ্যাল হেলথ কর্মী’) ও সরকারি হাসপাতালে যোগাযোগ করতে হবে।