উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, কুলতলি : সুন্দরবন কৃষি মাতৃক এলাকা।ধান চাষের পাশাপাশি মাছ চাষে ও সুন্দরবনের মানুষ সমান আগ্রহী। আর তাই মাছ চাষ করে মাছ চাষিদের স্বনির্ভর করার লক্ষে এবার এগিয়ে এলো কেন্দ্রীয় সরকার। গত ২৬ শে ফেব্রুয়ারী থেকে তিন দিনের মাছ চাষিদের প্রশিক্ষন শিবির ও মাছের খাবার প্রদান করা হলো কুলতলি ব্লকের পাঁচুয়াখালি গ্রামে।তফশিলি জাতি উপ পরিকল্পনা (scsp) অধীনে তপশিলি জাতির মৎস্য চাষীদের জন্য ভারতীয় কৃষি অনুসন্ধান পরিষদের অধীনস্ত কেন্দ্রীয় মিষ্টি জীবপালন সংস্কার রহড়ার আঞ্চলিক গবেষণা কেন্দ্রের উদ্যোগে মৎস্য পালন প্রযুক্তি করনের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের গ্রামীন তপশিলি জাতি চাষী পরিবারের আর্থিক ও সক্ষমতা বৃদ্ধি প্রকল্পে এক বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে চাষের প্রশিক্ষণ ও সচেতনতা শিবির হয়ে গেল।আর এই শিবিরে অংশ নিয়ে উক্ত গবেষণা কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিজ্ঞানী ড: বি এন পাল এই তপশিলি জাতি উপ পরিকল্পনার গুরুত্ব ও উদ্দেশ্য বিষয়ে বিস্তারিত বিবৃতির মাধ্যমে গত ২৬ শে ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। এ ছাড়াও তিনি মৎস্য পালনে খাদ্য প্রস্তুতি ও খাওয়ানোর পদ্ধতি বিষয়ে আলোকপাত করেন চাষিদের মধ্যে। মৎস্য বিজ্ঞানী অরবিন্দ দাস বাস্তু পুকুরে মাছ চাষ বিষয়ে আলোকপাত করেন। তাছাড়া বিজ্ঞানী ড: আর এন মন্ডল, ড: এফ হক মৎস্য পালনে মাছের প্রাকৃতিক খাদ্য জীবনের ভূমিকা এবং তার মূল্যায়ন এবং মাছের রোগ ও তার ব্যবস্থাপনা বিষয়ে তুলে ধরেন। তিন দিনের এই অনুষ্ঠানে এই এলাকার শতাধিক মাছ চাষী অংশ নেন এবং তাদের হাতে মাছ চাষের অত্যাবশ্যকীয় উপাদান সামগ্রী যেমন চুন মহুয়া খোল ও ভাসমান মাছের খাবার বিতরণ করা হয়।