সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং –
দুয়ারে কড়া নাড়ছে লোকসভা নির্বাচন। সমস্ত রাজনৈতিক দল তাদের কর্মী সমর্থদের কে নিয়ে বিভিন্ন ভাবে প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়ার আগেই কর্মী সমর্থকদের মনোবল চাঙ্গা করতে ব্যস্ত।বিগত দিনে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস একাধিক প্রকল্প সামনে এনেছিল। উল্লেখযোগ্য প্রকল্পের মধ্যে ‘দিদি কে বলো’ , ‘এক ডাকে অভিষেক’ , ‘দুয়ারে সরকার’ , ‘পাড়ায় সমাধান’ এমনকি দিদির দূত সহ বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্প। লোকসভা নির্বাচনের আগেই তৃণমূল কংগ্রেসের মতো কর্মসুচী শুরু করলো বিজেপি।বিজেপির কর্মসুচীর নাম দেওয়া হয়েছে ‘গ্রামে চলো সম্পর্ক অভিযান’।চলতি ফেব্রুয়ারী মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে শুরু হয়েছে এমন অভিযান। চলবে ফেব্রুয়ারীর শেষ পর্যন্ত। জানা গিয়েছে,বিজেপি’র বিভিন্নস্তরের নেতৃত্ব এমন কর্মসুচী নিয়ে সাধারণ মানুষের দূয়ারে পৌঁছে যাচ্ছেন।পৌঁছে দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি সহ ক্যালেন্ডার,বিভিন্ন কাজের খতিয়ান এমনকি কেন্দ্রের দেওয়া প্রকল্পে পেয়েছেন কি না,সে বিষয়েও খোঁজ খবর নিয়ে সমাধান বাতলে দিচ্ছেন বিজেপি নেতৃত্ব।
বিজেপির রাজ্য নেতা সঞ্জয় কুমার নায়েক জানিয়েছেন, ‘কেন্দ্রের দেওয়া প্রকল্প সাধারণ মানুষ পেয়েছেন কি না তার যেমন খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে প্রতিটি বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে,তেমনই প্রকৃত উপভোক্তা যদি প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ক্যালেন্ডার ও কাজের খতিয়ান তুলে দেওয়া হচ্ছে।ফেরুয়ারীর প্রথম সপ্তাহ থেকে সুন্দরবনের প্রত্যন্ত গোসাবা,বাসন্তী এমনকি ক্যানিং এলাকার বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে আমাদের এই কর্মসুচী চলছে।ফলে সাধারণ মানুষের সাথে সম্পর্কের অটুট বন্ধন তৈরী হচ্ছে।’
জয়নগর সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক বিকাশ সরদার,দেবজ্যোতি হালদার,জেলা সদস্য শেখর বর্মনদের দাবী, ‘কেন্দ্র সরকারের কর্মসুচী ও ক্যালেন্ডার নিয়ে আমরা মানুষের দূয়ারে পৌঁছে যাচ্ছি।রাজ্যের শাসক দলের কোন প্রকল্প সাধারণ মানুষ পায়নি।সমস্তটাই শাসক দলের নেতা নেত্রীরা লুটেপুটে খেয়েছে।গ্রামের অসহায় দরিদ্র মানুষ বঞ্চিত।বঞ্চিত মানুষজন যাতে করে সুযোগ সুবিধা পায় আমরা সেই উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।ভালো সাড়া মিলছে।’
গোসাবার ৫ নম্বর মন্ডল সভাপতি তরুণ খাঁ জানিয়েছেন, ‘গ্রামে চলো সম্পর্ক অভিযান’ এ সাধারণ মানুষ স্বতঃষ্ফুর্ত ভাবে গ্রহণ করছেন। যা লোকসভা নিবার্চনে তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট ব্যাঙ্কে থাবা বসাবে।’
অন্যদিকে বাসন্তীর ২ নম্বর মন্ডলের সভাপতি অসীম বর্মন জানিয়েছেন, ‘সাধারণ মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতি আস্থা হারিয়েছেন।কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন জনমুখী কর্মসুচী নিয়ে আমরা গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে যাচ্ছি।সাধারণ মানুষ বাংলায় পরিবর্তন চাইছেন। আগামী লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস কে বিদায় জানাবে।’
বিজেপি ‘গ্রামে চলো সম্পর্ক অভিযান’ প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের এক জেলা নেতা জানিয়েছেন, ‘বাংলায় বিজেপির পায়ের তলায় মাটি নেই।ছন্নছাড়া সাম্প্রদায়িক দল। লোকসভা নির্বাচনের আগে ছন্নছাড়ারা যাতে একত্রিত হয় সেই জন্যই হালখাতার ক্যালেন্ডার দিয়ে একত্রিত করতে চাইছে। সাধারণ মানুষ বিজেপির ভয়ানক রুপ দর্শন পেয়েছে।ফলে ক্যালেন্ডার দিয়ে মানুষকে ভোলাতে চাইছে।সাধারণ মানুষ বোকা নয়।তাঁরা মা মাটি মানুষের উন্নয়ণে বিশ্বাসী। আর সে কারণে এবার লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি কে বিতাড়িত করতে বদ্ধ পরিকর।’