(জেলা-উত্তর ২৪ পরগনা)
১৮ ই মার্চ, ২০২৩ তারিখের প্রায় ১৮৩০ ঘটিকায়, দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের অধীন আইসিপি পেট্রাপোল, ১৪৫ ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা আন্তর্জাতিক সীমান্তে ৪৬৬৭ গ্রাম ওজনের ৪০ টি সোনার বিস্কুট সহ ট্রাক ড্রাইভারি করা এক চোরাকারবারীকে গ্রেপ্তার করেছে। জব্দকৃত সোনার মোট মূল্য ২,৭৮,৫৭,৫৬১/- টাকা।
কর্তব্যরত জওয়ানরা গুপ্ত সংবাদ পান যে এক ট্রাক চালকরুপি চোরাকারবারী আইসিপি পেট্রাপোল হয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে সোনা পাচার করতে চলেছে। অবিলম্বে, বিএসএফ আধিকারিকদের নির্দেশ অনুসারে জওয়ানরা একটি অনুসন্ধান দল গঠন করে। এর কিছুক্ষণ পর এক সন্দেহভাজন বাংলাদেশি ট্রাক আইসিপি পেট্রাপোল দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে। বিএসএফ অনুসন্ধান দল তল্লাশির জন্য ওই ট্রাকটিকে থামায়। ওই ট্রাকে করে বাংলাদেশ থেকে ভারতে মাছ আনা হচ্ছিল। জওয়ানরা পুরো ট্রাকটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তল্লাশি করে। তল্লাশিকালে মাছের বাক্সের নিচে থেকে ৪০টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার করা হয়। জওয়ানরা অবিলম্বে ট্রাক এবং সোনা সহ ট্রাক চালককে আটক করে এবং আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিএসএফ ক্যাম্পে নিয়ে আসে। গ্রেফতারকৃত পাচারকারীর পরিচয় সুশংকর দাস, জেলা সাতক্ষীরা, বাংলাদেশ বলে জানা যায়।
জিজ্ঞাসাবাদে ট্রাক চালক জানায়, সে ১৫ বছর ধরে ট্রাক চালাচ্ছে। সে আরও জানান, আজ ট্রাকের মালিক সাতক্ষীরার বাসিন্দা সফিকুল ইসলাম, রয়েস ইন্টারন্যাশনাল, সাতক্ষীরা থেকে এই ট্রাকে মাছ বোঝাই করেছিল। এরপর ভারতে আসার পর এসব মাছ কলকাতার বাবা ইন্টারন্যাশনালের কাছে হস্তান্তর করার কথা ছিল। কিন্তু আইসিপি পেট্রাপোলে বিএসএফ অনুসন্ধান দল তল্লাশির সময় তাকে সোনার বিস্কুট সহ আটক করে নেয়।
আটক পাচারকারীকে সোনার বিস্কুট ও ট্রাকসহ কাস্টম অফিস, পেট্রাপোল, তেঁতুলিয়ায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের জনসংযোগ কর্মকর্তা বলেছেন যে সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী সীমান্তে বসবাসকারী লোকেদের বিএসএফ-এর সীমা সাথী হেল্পলাইন নম্বর ১৪৪১৯ তে যোগাযোগ করে সোনা চোরাচালান সংক্রান্ত তথ্য প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন। এ ছাড়া দক্ষিণবঙ্গ সীমান্ত আরও একটি নম্বর ৯৯০৩৪৭২২২৭ জারি করেছে যাতে সোনা চোরাচালান সংক্রান্ত তথ্য হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ বা ভয়েস মেসেজ করে পাঠানো যায়। সঠিক তথ্য প্রদানকারী ব্যক্তিকে উপযুক্ত পুরস্কারের অর্থ প্রদান করা হবে এবং তার পরিচয় গোপন রাখা হবে।