জেলা-উত্তর ২৪ পরগণা/মালদা/মুর্শিদাবাদ, ১৪ মে ২০২৪-এ, দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের সতর্ক বিএসএফ জায়নারা মাদক চোরাচালানের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করেছে এবং সীমান্ত চৌকি দোবরপাদা, ০৫ ব্যাটালিয়ন এবং ০৫ ব্যাটালিয়নের সীমান্ত চৌকিতে ২০০ বোতল ফেনসিডিল সহ একজন বাংলাদেশি পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করেছে। পাচারকারীরা ভারত থেকে বাংলাদেশে পাচারের চেষ্টাকালে ১১০টি ফেনসিডিল আটক করেছে ৮৪ ব্যাটালিয়ন জব্দকৃত পণ্যের আনুমানিক মূল্য ৬৩,৬৯৯/- টাকা।
জানা গেছে, খবর পেয়ে সীমান্ত চৌকি ডোবরাপাড়ার সেনারা অ্যাম্বুশ করে। প্রায় ০০৩০ টায়, অ্যাম্বুশ দল ২-৩ জন চোরাকারবারীর কিছু সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ্য করে যারা কিছু পণ্য নিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করার চেষ্টা করছিল। অ্যামবুশ পার্টি তাদের থামার জন্য চ্যালেঞ্জ করেছিল কিন্তু তারা কোন পাত্তা দেয়নি এবং আক্রমণাত্মকভাবে তাদের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। বিপদ টের পেয়ে সৈনিক অ-ঘাতক অস্ত্র দিয়ে বাতাসে গুলি চালায় এবং গুলি করার পর চোরাকারবারীরা মালামাল ফেলে পালিয়ে যেতে শুরু করলেও অ্যাম্বুশ পার্টি তাদের ধাওয়া করে এবং এক পাচারকারীকে ২০০ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক করে।
গ্রেফতারকৃত চোরাকারবারীর নাম সাইফুল ইসলাম পিতা-আব্দুল রহিম, গ্রাম বাহিলাপোতা, থানা-শার্শা, জেলা-যশোর, বাংলাদেশ।
জিজ্ঞাসাবাদে সাইফুল ইসলাম জানায়, ১৩ মে ২০২৪ সালে পুটখালী গ্রামের রাজু তাকে ভারত থেকে ২০০ বোতল ফেনসিডিল আনতে বলে এবং উপরের চালানটি সফলভাবে ডেলিভারি করার পর তাকে ১৬,০০০/- বাংলাদেশী টাকা দেবে। তদনুসারে, আনুমানিক ১৮০০ টায়, তিনি আরও ০৩ জন বাংলাদেশী নাগরিকের সাথে পুটখালী থেকে চলে যান এবং অজ্ঞাত এলাকা থেকে সাঁতার কেটে ইচ্ছামতি নদী (আইবি) পার হয়ে সেখান থেকে ফেনসিডিলের চালান নিয়ে যান এবং তারপরে তারা ফেনসিডিল নিয়ে সীমান্তে পৌঁছালে। পার হতেই বিএসএফ তাকে ২০০ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক করে। পশু চোরাচালানের সঙ্গেও জড়িত বলে তিনি জানান।
আটক ব্যক্তি ও জব্দকৃত মালামাল পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হবে।
দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের ডিআইজি এবং জনসংযোগ কর্মকর্তা শ্রী এ.কে. আর্য বলেন, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে চোরাচালান বন্ধে বিএসএফ কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে। এ কারণে এ ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, আমরা কোনো অবস্থাতেই আমাদের এলাকা থেকে চোরাচালান হতে দেব না।