Home General বিএসএফ ফেনসিডিল সহ এক চোরাকারবারীকে ধরেছে

বিএসএফ ফেনসিডিল সহ এক চোরাকারবারীকে ধরেছে

0

২০২১ সালের ১৩ জুলাই রাত প্রায় ২২৩০ টায়, বিএসএফের সীমান্ত চৌকি নওদা, অ্যাডহক ব্যাটালিয়ন বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের কর্মীরা পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলার আন্তর্জাতিক সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ৫০ বোতল ফেনসিডিল সহ একটি চোরাচালানকারীকে ধরেছে । । এই ফেনসিডিল বোতলগুলি সীমান্তবর্তী জেলা মালদা, সীমা চৌকি নবাদার এলাকা থেকে বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
বিএসএফের গোয়েন্দা বিভাগের নির্ভরযোগ্য তথ্যের ভিত্তিতে, সীমান্ত চৌকি নওদার টহল দলটি সময় ২২৩০ টার দিকে আন্তর্জাতিক সীমান্তের তারবান্দির নিকটে ৬-৭ সন্দেহভাজন পাচারকারীদের পোটলা সহ চলাচল লক্ষ্য করে তাদের আরো নিকটে আসার অপেক্ষা করে এবং সামনে এলে পাচারকারীদের চ্যালেঞ্জ জানায়। সৈন্যদের আওয়াজ শুনে চোরাচালানীরা ভারতীয় গ্রামের দিকে ছুটে যেতে শুরু করে। কিন্তু বিএসএফের জওয়ানরা তাদের তাড়া করে ৫০ ফেনসিডিল বোতল সহ একটি চোরাকারবারীকে গ্রেফতার করে । বাকি চোরাকারবারীরা পাট খেত এবং অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে পালাতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধরা পড়া এই চোরাকারবারি তার নাম ফজরুদ্দীন মিয়া মুজাফফর,পিতা-পাইসারা শেখ, গ্রাম-খরিবান্না (হাজারী মুন্না তোলা), সাসানী পোস্ট, থানা-কালিয়াচাক, জেলা মালদা বলে প্রকাশ করে।
আরও জিজ্ঞাসাবাদে ফজরুদ্দীন মিয়া বলে যে সে ফেনসিডিলের এই বোতলগুলি জেনারুল মিয়া, পিতা -এমাজউদ্দিন মিয়া, গ্রাম-গোপালনগর, পোস্ট-সাসানী, থানা-কালিয়াচাক, মালদা থেকে নিয়েছিল, যা আন্তর্জাতিক সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার পরে বাংলাদেশি চোরাকারবারি রসুল শেখ, পিতা – কোরাওয়াদ শেখ, গ্রাম – হুদমাপাড়া, থানা – শিবগঞ্জ, জেলা – চাঁপাইনবাবগঞ্জ, বাংলাদেশ কে হস্তান্তর করতো। গ্রেপ্তারকৃত ফজরুদ্দীন মিয়া জানায় যে বর্তমানে ফেনসিডিলের অপ্রাপ্যতার কারণে ভারতীয় বাজারে এক ফেনসিডিল বোতলের দাম প্রায় ১৮৪.৬৫/ – টাকা। আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রম করার পরে বাংলাদেশে এর দাম ১২০০-১৫০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে যায় । চোরাকারবারিটি বলে যে সে প্রতি ২৫ বোতল ফেনসিডিল পার করলে ১৫০০/ – টাকা করে পায় ।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির সাথে বাজেয়াপ্ত ফেনসিডিল বোতলগুলি পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য থানা গোলপগঞ্জের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
শ্রী প্রমোদ কুমার অগ্রওয়াল, ভারপ্রাপ্ত কমান্ডিং অফিসার, অ্যাডহক ব্যাটালিয়ন জানিয়েছেন যে চোরাচালানকারীরা কম সময়ে বেশি অর্থ লাভের লোভ দেখিয়ে সীমান্ত বাসীদের প্রলুব্ধ করে এবং পাচার কার্যে নিযুক্ত করে । লাগাতার চোরাকারবারীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে,যাতে ফেনসিডিলের আসল মাফিয়াকে গ্রেফতার করা যায়।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Exit mobile version