জেলা-উত্তর ২৪ পরগণা, ১৪ জানুয়ারী ২০২৪, দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের অন্তর্গত ১১২ ব্যাটালিয়নের সীমান্ত চৌকি তারালির সতর্ক বিএসএফ তাদের সীমান্ত এলাকা থেকে চোরাচালানের একটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ করেছে এবং ৯১ বোতল ফেনসিডিল এবং ৭.১৭৫ কেজি রূপার গয়না সহ একজন চোরাকারবারীকে গ্রেপ্তার করে। চোরাকারবারিরা যখন ভারত থেকে রুপার গয়না ও ফেনসিডিলের বোতল বাংলাদেশে পাচারের চেষ্টা করছিল। জব্দকৃত রূপা ও ফেনসিডিলের মোট আনুমানিক মূল্য ৪,৮৯,৩৪৮/- টাকা।
তথ্য অনুযায়ী, ১৩ জানুয়ারি সীমান্ত চৌকি তারালির জওয়ানরা সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে বিশেষ তল্লাশি অভিযান চালায়। এদিকে রাত ১০ টার দিকে উল্লিখিত স্থানে একটি সন্দেহজনক কালো রঙের সেন্ট্রো গাড়ি (WB 02X 2770) দেখা যায় যেটি স্বরূপদা থেকে তারালী গ্রামের (সীমান্ত গ্রাম) দিকে যাচ্ছিল। সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা গাড়িটিতে তল্লাশি চালিয়ে ৭ দশমিক ১৭৫ কেজি রূপার গয়না ও ৯১ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে। কর্তব্যরত জওয়ানরা রুপার গয়না ও ফেনসিডিলের বোতলসহ গাড়িটি আটক করে পাচারকারীকে গ্রেফতার করে।
ধৃত পাচারকারীর নাম রিপন মোল্লা (বয়স – ২৭ বছর) গ্রাম – তারালি, জেলা – উত্তর ২৪ পরগনা৷
জিজ্ঞাসাবাদে রিপন মোল্লা জানায় সে একজন ভারতীয় নাগরিক এবং জীবিকা নির্বাহের জন্য গত কয়েকদিন ধরে ছোটখাটো চোরাচালান কাজ করে আসছে। তিনি জানান, তিনি এক ভারতীয় চোরাকারবারীর কাছ থেকে এসব রুপার গয়না ও ফেনসিডিলের বোতল নিয়েছিলেন এবং সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনীর ডিউটি পয়েন্ট অতিক্রম করার পর তারালী গ্রামের অন্য এক চোরাকারবারীর কাছে হস্তান্তর করেন। এই কাজের জন্য তাকে ₹১২,০০০/- পেতে হয়েছিল। কিন্তু ডিউটিতে থাকা বিএসএফ জওয়ানরা তাকে রুপার গয়না ও ফেনসিডিলসহ ধরে ফেলে।
আটক ব্যক্তিকে জব্দকৃত মালামালসহ স্বরূপনগর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের জনসংযোগ আধিকারিক জওয়ানদের কৃতিত্বে আনন্দ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছিলেন যে ডিউটিতে থাকা বিএসএফ জওয়ানদের নজরদারির কারণেই এটি সম্ভব হয়েছে। অফিসার সাফ কথায় বলেছেন, বিএসএফ জওয়ানদের চোখের আড়াল করা যাবে না। তিনি আরো বলেন, চোরাচালান সংক্রান্ত সঠিক তথ্য প্রদান এবং সীমান্ত এলাকায় সংঘটিত অপরাধমূলক কর্মকান্ডের উপর কড়া নজর রাখার জন্য তাদের একটি চমৎকার টিম রয়েছে।