জেলা-উত্তর ২৪ পরগণা, ২১ মার্চ ২০২৪,দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের ১১২ ব্যাটালিয়নের সীমান্ত চৌকি বিথারির বিএসএফ জায়নারা রৌপ্য অলঙ্কার পাচারের চেষ্টাকে ব্যর্থ করেছে এবং ১৩.৬ কেজি রূপার অলঙ্কার সহ একজন চোরাকারবারীকে গ্রেপ্তার করেছে। পি[পাচারকারীরা ভারত থেকে বাংলাদেশে রৌপ্য অলঙ্কার পাচার করার চেষ্টা করছিল । জব্দকৃত রৌপ্য অলঙ্কারের আনুমানিক মূল্য ৯,৭০,৩০৪/- টাকা।
তথ্য অনুযায়ী, ২০ মার্চ সীমান্ত চৌকি জওয়ানরা একটি ইঞ্জিন লাগানো ভ্যানে গহ্বরে লুকিয়ে রূপার অলঙ্কার পাচারের বিষয়ে নির্ভরযোগ্য তথ্য পায়। ডিউটিতে থাকা বিএসএফ সৈন্যরা সন্দেহভাজন ইঞ্জিন লাগানো ভ্যানের গতিবিধি লক্ষ্য করে এবং যে ব্যক্তি ভ্যানে চড়ে গ্রাম-স্বরূপদহ থেকে আসছিল তাকে থামিয়ে ভ্যানে তল্লাশি চালায়। তল্লাশির সময়, একটি বাদামী টেপে মোড়ানো ০৮ টি প্যাকেট যার মধ্যে ৩.৬৪০ কেজি ওজনের সিলভার অ্যাঙ্কলেট এবং৭,৪৮,৯৯২/- টাকা মূল্যের৯.৯৬০ কেজি ওজনের রৌপ্য দানা উদ্ধার করা হয়, যেগুলি ইঞ্জিন লাগানো ভ্যানের গহ্বরে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। সৈন্যরা তাৎক্ষণিকভাবে রৌপ্যের অলঙ্কার জব্দ করে এবং ওই ব্যক্তিকে আটক করে।
ধৃত পাচারকারীকে সবুজ মন্ডল, এস/ও- হাবিবর মন্ডল, ভিল-পদ্মবিল্লা, জেলা- উত্তর ২৪ পরগনা (W.B) হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদে সবুজ মণ্ডল জানায়, ২০ মার্চ ভিল-পদামভিলার এক অজ্ঞাত ব্যক্তি তাকে গোলপাতায় বাদামি রঙের টেপে মোড়ানো সিলভারের অলঙ্কার দেয়। এর পরে, তিনি একটি ইঞ্জিনযুক্ত ভ্যানের একটি ইম্প্রোভাইজড গহ্বরে সিলভারের অলঙ্কারগুলি লুকিয়ে রাখেন। যখন তিনি সীমান্ত ফাঁড়ির ক্যাম্প গেট পার হচ্ছিলেন- বিথারি। বিএসএফ সেনারা তাকে তল্লাশি করতে বাধা দেয়। চেক করার সময় ইঞ্জিন লাগানো ভ্যানের চেসিসের ভিতরে একটি ইম্প্রোভাইজড ক্যাভিটি থেকে রৌপ্য অলঙ্কারগুলি উদ্ধার করা হয়। তিনি আরও বলেছিলেন যে বিএসএফের আধিপত্যের লাইন অতিক্রম করার পরে তিনি পদমভিলা গ্রামে একই ব্যক্তির কাছে রৌপ্য অলঙ্কারগুলি হস্তান্তর করবেন এবং এই কাজের জন্য তিনি ১,০০০/- টাকা পাবেন কিন্তু পথে বিএসএফের কর্তব্যরত কর্মীরা তার প্রচেষ্টা নষ্ট করে এবং তাকে গ্রেপ্তার করে।
আটক ব্যক্তি ও জব্দকৃত মালামাল তেঁতুলিয়া কাস্টমস অফিসে হস্তান্তর করা হয়েছে।
শ্রী এ কে আর্য, ডিআইজি, দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের জনসংযোগ আধিকারিক বলেছেন যে বিএসএফ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে চোরাচালান প্রতিরোধে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে। এ কারণে এ ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা নানা সমস্যায় পড়েন। আরও বলেন, আমরা কোনো অবস্থাতেই আমাদের এলাকা থেকে চোরাচালান হতে দেব না।
