নিজস্ব প্রতিনিধি , সুন্দরবন: গভীর রাতের অন্ধকারে বাংলাদেশি জলদস্যুদের সঙ্গে বনদপ্তরের গুলির লড়াই শুরু হয়। তাতেই নিহত হয় একজন বনদপ্তরের অফিসার। নিহতের নাম অমলেন্দু হালদার। তাঁর বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘি এলাকাতে। নিহত অফিসারের দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ব্যাঘ্র প্রকল্প ও পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার সন্ধ্যায় বিদ্যা রেঞ্জ অফিসের নেতিধোপানি ক্যাম্পের ৬ জন কর্মী টহল দিতে বের হয়েছিলেন। নেতিধোপানি ক্যাম্প থেকে কিছুটা এগোতেই জঙ্গলের কোর এলাকার মধ্যে শুরু হয় বাংলাদেশের জলদস্যুদের সঙ্গে ব্যাঘ্র প্রকল্পের গুলির লড়াই। সেই সময় এক বাংলাদেশি জলদস্যু কুড়ুলের কোপ মারে অমলেন্দু হালদারের মাথায়। রক্তাক্ত অবস্থায় বোট থেকে নদীর জলে পড়ে যায় অমলেন্দু বাবু। ভয়ে বনদপ্তরে অন্যান্য কর্মীরা লুকিয়ে পড়ে জঙ্গলের মধ্যেই। ঘটনার সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গুলি লড়াই হয়। কেওড়াসুতি জঙ্গলের কাছে এই ঘটনা ঘটায় সেখান থেকে ক্যাম্পে আসতে বনদপ্তরে কর্মীদের যথেষ্ট সময় লেগে যায়। পরে বনদপ্তরে অন্যান্য কর্মীরা গিয়ে ওই এলাকা থেকে দেহটি উদ্ধার করে। ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে দেহটিকে। তদন্ত শুরু করেছে বনদপ্তর এবং পুলিশ যৌথভাবে।
যে এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে সেখান থেকে বাংলাদেশ বর্ডারের দূরত্ব খুব বেশি দূরে নয়। শুধু তাই নয় এর আগেও একাধিক বার এই সমস্ত এলাকা গুলিতে জলদস্যুরা হামলা চালিয়েছে । এই ঘটনার পর আতঙ্ক ছড়িয়েছে বনদপ্তরে কর্মীদের মধ্যে। মূলত বাংলাদেশের জলদস্যুরা এই সময় ওই এলাকায় বিভিন্ন মধু সংগ্রহকারীদের নৌকা গুলিতে ডাকাতি করতে আসে। তাছাড়াও বাঘ ও হরিণ শিকার করে থাকে তারা। এই সমস্ত চোরাকারবারি ও জলদস্যুদের কাজের বাধা দেওয়ার কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করছে প্রকল্পের অধিকারীরা।