জেলা-মালদা:- ১০ শে জুন, ২০২১, দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর জওয়ানরা সীমা চৌকি মালিক সুলতানপুরের দায়িত্বের এলাকা থেকে একজন চীনা নাগরিক কে গ্রেপ্তার করেছে যখন সে অবৈধ ভাবে ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রম করার চেষ্টা করছিলো । সে গোপনে আন্তর্জাতিক সীমান্তের দিকে চলতে শুরু করলে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের সতর্ক জওয়ানরা তাকে চ্যালেঞ্জ জানায় এবং থামার নির্দেশ দেয় কিন্তু চীনা নাগরিক পালানোর চেষ্টা করলে জওয়ানরা তাকে তাড়া করে ধরে ফেলে। এই অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সীমান্ত চৌকি মহাদীপুরে আনা হয় ।জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন, চীনা অনুপ্রবেশকারী তার নাম হান জুনওয়ে (বয়স ৩৬ বছর) নামে প্রকাশ করে যে চীনের হুবাইয়ের বাসিন্দা। জিজ্ঞাসাবাদে এবং পাসপোর্ট উদ্ধার করে জানা যায় যে, সে ০২ রা জুন, ২০২১ এ ব্যবসায়িক ভিসায় ঢাকা , বাংলাদেশে পৌঁছেছিলো এবং সেখানে একজন চীনা বন্ধুর সাথে থেকেছে । তারপরে ০৮ জুন, ২০২১ এ সে সোনা মসজিদ , জেলা চাঁপাই নবাবগঞ্জে (বাংলাদেশ) আসে এবং একটি হোটেলে ছিল । ১০ জুন ২০২১ এ যখন সে ভারতীয় সীমান্তের ভিতরে প্রবেশ করছিলো , তখন তাকে সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর জওয়ানরা ধরে ফেলে জিজ্ঞাসাবাদকালে সে বলেছে যে এর আগেও চারবার ভারতে এসেছিলো , সে ২০১০ সালে হায়দরাবাদ এবং ২০১৯ সালের পরে তিনবার দিল্লি গুরুগ্রামে এসেছিলো । তার কথা মতো গুরুগ্রামে তাঁর একটি হোটেল রয়েছে যার নাম “স্টার স্প্রিং”। এই হোটেলে তাঁর কয়েকজন বন্ধু আছে যারা চীনের থেকে এসেছেন এবং বাকী ভারতীয় লোকদের চাকরি হিসাবে রাখা হয়েছে। পুঙ্খানুপুঙ্খ জিজ্ঞাসাবাদে সে জানিয়েছে যে সে যখন তার নিজের শহর হুবেই (চীন) গিয়েছিলো তখন তার ব্যবসায়িক অংশীদার সান জিয়াং তাকে কিছু দিন পর পর তাকে ১০ -১৫ টা ভারতীয় মোবাইল ফোনের সীম কার্ড পাঠাতো । যা সে এবং তাঁর স্ত্রী পেয়েছিলো । তবে কিছুদিন আগে তাঁর ব্যবসায়ের অংশীদার এটিএস লখনউয়ের হাতে ধরা পড়ে। এই অনুপ্রবেশকারীর তল্লাশির দৌড়ান তার কাছথেকে ০১ টি অ্যাপল ল্যাপটপ, ০২টি আইফোন মোবাইল, ০১ টি বাংলাদেশ সিম, ০১টি ভারতীয় সিম, ০২টি চাইনিজ সিম, ২টি পেন ড্রাইভ, ০৩টি ব্যাটারি, ০২ টি ছোট টর্চ, ০৫টি টাকা লেনদেনের মেশিন, ০২ টি এটিএম / মাস্টার কার্ড, ইউএস ডলার, বাংলাদেশি টাকা এবং ভারতীয় মুদ্রাও উদ্ধার করা হয় ।বিএসএফ সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার বিএসএফের জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হান জুনওয়ে একজন ভয়ঙ্কর অপরাধী এবং গভীর জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। সমস্ত গোয়েন্দা সংস্থা এই কাজে একত্রে কাজ করছে। হান জুনউয়ের কাছ থেকে পাওয়া বৈদ্যুতিন সরঞ্জামগুলিতে অনেক তথ্য পাওয়া যেতে পারে যাতে সে ভারতে কাজ করছিল একজন চীনা গোয়েন্দা সংস্থার হয়ে । এরগ্রেপ্তারি সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর একটি বড় উপলব্ধি এবং বিষয়টি গভীরভাবে তদন্ত করা হবে। তদন্তের পরে প্রচুর চমকপ্রদ তথ্য পাওয়া যেতে পারে।