সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং :-
প্রতারকদের ফাঁদে পা দিয়ে শতাধিক মহিলা প্রতারিত হলেন।প্রতারকরা প্রায় ১০ লক্ষের অধিক টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।ঘটনা প্রসঙ্গে বৃহষ্পতিবার ক্যানিং থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন মহিলারা।গত প্রায় ১৫ দিন আগে ক্যানিংয়ের তালদি,মিঠাখালি, বেলেগাছি সহ বিভিন্ন গ্রামে তিনজন অপরিচিত মহিলা হাজীর হয়।গ্রামে গ্রামে গৃহবধু ও মহিলাদের স্বনির্ভর করার জন্য লোন দেওয়ার প্রলোভন দেয়।তিন দফায় তিন প্রতারক মহিলা গ্রামে গিয়ে মহিলাদের থেকে নথীপত্র সংগ্রহ করে। পরে জানায় লোন দেওয়ার আগেই বীমা করতে হবে।বীমার ধরণ সম্পর্কেও মহিলাদের জানানো হয়।পঞ্চাশ হাজার লোনের ক্ষেত্রে বীমা ২৬৫০ টাকা,৬০ হাজার টাকা লোনের ক্ষেত্রে ২৯৫০ টাকা,৮০ হাজার টাকা লোনের ক্ষেত্রে ৩২৫০ টাকা।গ্রাম্য মহিলারা সরল বিশ্বাসে তিন প্রতারক মহিলাকে লোন নেওয়ার নিয়ম অনুসারে গ্রামের মহিলারা বীমা বাবদ টাকা জমা দেয়।টাকা জমা দেওয়ার পর লোন না পেয়ে গ্রামের মহিলারা প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পারেন।তাঁরা একত্রিত মিলিত ভাবে ক্যানিং থানায় প্রতারকদের নামে অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ক্যানিং থানার পুলিশ।প্রতারিত হালিমা গাযেন,হালিমা মোল্লা, মঞ্জিলা বিবি,টুকটুকি মোল্লা, মনোয়ারা বিবি গায়েন,চন্দ্রবতী হালদার,সুমিত্রা নাইয়া,মঞ্জু হালদার,পদ্মা হালদার,সাবিরা মোল্লা’দের দাবী,আমরা না বুঝেই প্রতারণার শিকার হয়েছি। যাতে করে আর কেউ প্রতারিত না হয় এবং অভিযুক্তদের ধরে যাতে কঠোর শাস্তি দেয় পুলিশ প্রশাসনের কাছে সেই আবেদন জানিয়েছি।