নিজস্ব প্রতিনিধি: আজ ২৭ শে নভেম্বর। আজ মহারণ। তয় নিজেদের মৌসুমের দ্বিতীয় খেলা খেলতে নামছে ইস্টবেঙ্গল এবং এটিকে মোহনবাগান। আইএসএলে এই নিয়ে তিনবার পরস্পরের মুখোমুখি হচ্ছে এই দল। নামের সঙ্গে তো ডার্বি কথাটি জুড়ে রয়েছে এই দুটো দলের মধ্যে। কিন্তু সত্যিই কি সেই উত্তেজনা হ্রাস ফেলতে পেরেছে কলকাতা ময়দানে? এক ভাগ বাংলা যখন গলা ফাটাবে লাল-হলুদ শিবিরের জন্য, মোহনবাগান জনতারা তাদের বঞ্চিত রাখবেন এই ম্যাচটা দেখার থেকে। কিন্তু কেন এই অদ্ভুত আচরণ? শুধু তাই নয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন রকম ভাবে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন মোহন জনতারা। বলাই বাহুল্য, তারা একেবারেই খুশি নয় তাদের ক্লাব কর্তাদের উপর। তারা কিছুতেই এটিকে মোহনবাগান কি তাদের মোহনবাগান হিসাবে মেনে নিতে পারছেন না। এর জন্য রাস্তাতে ও নেমেছেন তারা। কোন ত্রুটি রাখেনি তাদের মাতৃ সমো মোহনবাগানকে লোকের কাছে ফিরিয়ে আনতে। তাই বুকের পাটা শক্ত করে আজ টিভির পর্দায় বসবেনা বেশিরভাগ মোহনবাগান জনতা। স্বাভাবিকভাবেই এইবারের ডার্বির রং অনেকটা ফ্যাকাশে হয়ে গেছে। উত্তেজনার রাস অনেকটা কমে গেছে এইবারের ডার্বিতে। বলাই বাহুল্য কলকাতায় খেলাটি হলে এই নিস্তব্ধতা ফুটে উঠত। যদিও প্রথম ম্যাচের ভিত্তিতে ভিউয়ার্শিপ আগের মৌসুমের তুলনায় 50 শতাংশ কমেছে এটিকে মোহনবাগানের খেলায়। এমনকি আগের দিনের খেলায়, টুইটারে ট্রেন্ড হয়েছে বেশ কয়েকটা মোহন জনতা দের টুইট। #BreakTheMerger #ATKMBisnotmyclub #FakeDerby #RemoveATK এগুলো বিশেষ উল্লেখযোগ্য। একটি ১৩১ বছরের ক্লাবের ইতিহাসকে বারবারই মুছে ফেলতে চাইছেন এটিকে মোহনবাগান কর্মকর্তারা। তাই আজও সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ রাখলে দেখা যাবে অনেক অনেক বিক্ষোভ। মোহন জনতা দের হার না মানা মনোভাবই যে এখন সবথেকে বেশি প্রয়োজন মোহনবাগান ক্লাবের।
এরাম দুর্দিন যেন খুব শিগগিরই মুছে ফেলতে পারে বাংলার ফুটবল। মোহন জনতাদের বিক্ষোভের সাড়া কি দেবেন তাদের কর্মকর্তারা? কারণ সমর্থক ছাড়া মোহনবাগান ইস্টবেঙ্গল মোহামেডান স্পোর্টিং দিশাহীন। বেঁচে থাকুক বাংলার ফুটবল