নতুন দিল্লি, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ : উপরাষ্ট্রপতি শ্রী জগদীপ ধনখড় আজ দেরাদুনে রাষ্ট্রীয় মিলিটারি কলেজ (আরআইএমসি)-এর ক্যাডেটদের কাছে তাঁদের প্রাতিষ্ঠানিক লক্ষ্য পূরণ এবং জ্ঞান ও শক্তির চর্চার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে তাঁরা জীবনের বৃহত্তর যুদ্ধে লড়াই চালাতে পারেন। তিনি বলেন, চ্যালেঞ্জের সময় শক্তি এবং বিবেকের মিলিত রূপ অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠে।
সমস্ত পরিস্থিতিতে দেশের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন উপরাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, “গর্ব এবং নির্ভীক মানসিকতা নিয়ে দেশের সেবা করুন! ভারত মাতা আপনাকে পথ দেখাবে। আপনাদের কাজই দেশের ভবিষ্যৎ। সবসময় জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিন।”
আরআইএমসি-তে ক্যাডেটদের প্রতি ভাষণ দিতে গিয়ে উপরাষ্ট্রপতি সেখানকার প্রাক্তনী এবং অন্যান্যদের প্রতি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক হিসেবে কাজ করার এবং জাতীয়তাবোধের চেতনা নিয়ে দেশ বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আর্জি জানান।
১৯৬২ সালের ১০ ডিসেম্বর আরআইএমসি ক্যাডেটদের উদ্দেশে ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণানের দেওয়া ভাষণের কথা উল্লেখ করে উপরাষ্ট্রপতি ধনখড় বলেন, “এই বিশ্ব সাহসীদের জন্য, শক্তিশালী চেতনাসম্পন্নদের জন্য, অলসদের জন্য নয়, অযোগ্যদের জন্য নয়। এই বিশ্বে প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং বৈরিতা রয়েছে, আমাদের প্রত্যেককেই আত্মসংযম ও ত্যাগ নিয়ে জীবনযাপন করতে হবে। এই মহান আদর্শগুলি জীবনে অনুসরণ করুন।”
ব্যর্থতার ভয়কে অগ্রগতির সবচেয়ে বড় শত্রু হিসেবে চিহ্নত করে শ্রী ধনখড় ক্যাডেটদের উদ্দেশে বলেন, “জীবনে কখনও ব্যর্থতাকে ভয় পাবেন না, এটি হচ্ছে সাফল্যের পথে একটি পদক্ষেপ। ভয় আপনার প্রতিভার বিকাশে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। সবসময় মনে রাখবেন, আমাদের অগ্রগতির পথে ভয় হল একটি প্রয়োজনীয় উপকরণ।”
চন্দ্রযান মিশনের সাফল্যের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “ঐতিহাসিক চন্দ্রযান মিশনের কথা চিন্তা করুন! চন্দ্রযান ২ ব্যাপকভাবে সফল হলেও, পুরোপুরি হয়নি। এর কিছু ব্যর্থতা রয়েছে এবং বুদ্ধিমানদের কাছে এটি সাফল্যের পথে এগোনোর একটি পদক্ষেপ ছিল। গত বছরের ২৩ অগাস্ট আমরা সবাই দেখেছি, চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে চন্দ্রযান ৩-এর সফল অবতরণ এবং বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ভারত এই সাফল্য অর্জন করল।”
লিঙ্গ সমতার উল্লেখ করে শ্রী ধনখড় বলেন, “আমাদের নারীরা যুদ্ধবিমান চালনা করছেন, মহাকাশ অভিযানে অংশীদার হচ্ছেন। লোকসভা ও রাজ্য বিধানসভাগুলিতে মহিলাদের জন্য এক তৃতীয়াংশ আসন সংরক্ষণ নিশ্চিত ভাবে বড় পরিবর্তন আনবে।”
অনুষ্ঠানে উত্তরাখন্ডের রাজ্যপাল লেফটেন্যান্ট জেনারেল গুরমিত সিং, রাষ্ট্রীয় ইন্ডিয়ান মিলিটারি কলেজের কম্যান্ড্যান্ট কর্নেল রাহুল আগরওয়াল, ক্যাডেট, বিভিন্ন ফ্যাকাল্টি সদস্য এবং অন্যান্য বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।