চলন্ত অটো থেকে লাফিয়ে পড়ে প্রাণে বাঁচলেন দুই মহিলা।বুধবার সাত সকালে এমন ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।ঘটনাটি ঘটেছে নিকারীঘাটা পঞ্চায়েতের মৌখালি মধ্যমপাড়া এলাকায়। গুরুতর জখম হয়েছেন দিপালী ঢালী ও সারথী ঢালী নামে দুই মহিলা।স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে বারুইপুরের চম্পাহাটীর বাসিন্দা সারথী টালী ও দিপালী ঢালী। সম্পর্কে তাঁরা শাশুড়ি-বৌমা। কলকাতায় পরিচারিকার কাজ করেন।মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ক্যানিংয়ের মৌখালির মধ্যমপাড়ায় জামাইয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন।কলকাতায় কাজে যাওয়ার জন্য বুধবার ভোরে জামাইয়ের বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েছিলেন। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ক্যানিংয়ে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। সেই সময় ঢোষা-বেতবেড়িয়া গামী একটি অটো ওই দুই মহিলার সামনে এসে দাঁড়ায়।অটোচালক জানায় ক্যানিং যাবে এবং সকাল ছ’টার ট্রেন ধরিয়ে দেবেন।শাশুড়ি বৌমা অটোয় উঠে পড়ে।অভিযোগ অটোচালক অটো ঘুরিয়েই দ্রুত গতিতে আবার ঢোষা-বেতবেড়িয়ার দিকে রওনা দেয়।ক্যানিংয়ে না গিয়ে কেন উল্টো দিকে যাচ্ছে অটো ? অটোচালক কে দুই মহিলা এমন প্রশ্ন করেন। অটো চালক হুমকি দিয়ে জানায় ‘বাড়াবাড়ি’ না করে চুপচাপ অটোর মধ্যে বসে থাকার নির্দেশ দেয়।পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে বিপদ হতে পারে ভেবেই প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে দ্রুতগতির চলন্ত অটো থেকে লাফ দেয় বৌমা দিপালী ঢালী। রাস্তার উপর পড়ে গুরুতর জখম হয়। তাঁর হাতে মারাত্মক আঘাত লাগে। ভেঙে যায় শাঁখা।বৌমা লাফিয়ে নামতেই কিছুদূরের মধ্যে শাশুড়ি সারথী ঢালী ও চলন্ত অটো থেকে লাফিয়ে পড়ে গুরুতর জখম হয়।অন্যদিকে অটোচালক অটো নিয়ে চম্পট দেয়। স্থানীয়রা দুই মহিলাকে উদ্ধার করে। চিকিৎসার জন্য ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়।বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন সম্পর্কে শাশুড়ি-বৌমা।জখম দুই মহিলার মধ্যে সারথী ঢালীর অবস্থা সঙ্কটজনক। ঘটনা প্রসঙ্গে দিপালী ঢালী জানিয়েছেন, ‘জামাই বাড়িতে গিয়েছিলাম। বুধবার ভোরে কলকাতায় কাজে যাওয়ার জন্য বেরিয়ে অটোর জন্য অপেক্ষা করছিলাম রাস্তার পাশে।সেই সময় এক অটোচালক অটো নিয়ে ঢোষা- বেতবেড়িয়ার দিকে যাচ্ছিল।আমাদের দেখে ঘুরে এসে জানায় সে ক্যানিং যাবে।আমরা অটোতে উঠে পড়ি। অটোতে উঠতেই অটো ঘুরিয়ে নিয়ে দ্রুতগতিতে ঢোষা-বেতবেড়িয়ার দিকে রওনা দেয়। ক্যানিং না গিয়ে কেন উল্টো দিকে যাচ্ছে,জিঞ্জাসা করতেই আমদের কে হুমকি দেয়।উদ্দেশ্য ভালো নয়,পরিস্থিতি ভালো বেগতিক বুঝতে পেরে প্রাণ বাঁচানোর তাগিয়ে দ্রুতগতির অটো থেকে লাফ দিয়ে প্রাণ রক্ষা করি।কিছুটা দূরে শাশুড়ি মা ও লাফিয়ে পড়েন। অটোচালক অটো নিয়ে পালিয়ে যায়।খুব আতঙ্কে রয়েছি। ঘটনার বিষয় জানিয়ে ক্যানিং থানায় অভিযোগ জানিয়েছি।’এমন অঘটনের খবর শুনে জামাই সাগর মন্ডল ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে হাজীর হয়। সাগরের কথায়, ‘অটো চালকের খারাপ উদ্দেশ্য ছিল। তা না হলে দুই মহিলা যখন চলন্ত অটো থেকে লাফ দিলো,অটোচালক পালিয়ে গেল?সম্ভবত অটোচালকের খারাপ উদ্দেশ্য ছিল। ’