কর্মীর অভাবে জয়নগরের বহু গ্রন্থাগার বন্ধ

0
102

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়,জয়নগর : কর্মীর অভাবে বহু গ্রন্থাগার বন্ধ জয়নগরে।মন্ত্রীর কর্মী নিয়োগের আশ্বাসের পরেও খুলছে না গ্রন্থাগার গুলি।থরে থরে সাজানো আছে বই কিন্তু কর্মী নেই একের পর এক বন্ধ হচ্ছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বিভিন্ন জায়গায় থাকা গ্রন্থাগার গুলি।দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার জয়নগর, মজিলপুর,দক্ষিণ বারাসাত বহড়ু,গোচরন, ময়দা,নিমপীঠ এই সমস্ত অঞ্চলে গ্রন্থাগার গুলি তালা বন্ধ অবস্থায় পড়ে আছে।গ্রন্থাগার রয়েছে তার মধ্যে থরে থরে বইও সাজানো রয়েছে। কিন্তু পাঠকের জন্য সেই গ্রন্থাগার আর নিয়মিত খোলা হয় না।যার ফলে বই প্রেমীরা বইয়ের খোঁজে গিয়ে গ্রন্থাগার বন্ধ দেখে খালি হাতেই ফিরে আসছে।যার মধ্যে দক্ষিণ বারাসাতে দীর্ঘদিন ধরে বহু প্রাচীন হিতোষিনী পাঠাগার রয়েছে। বহু পাঠক এই পাঠাগারে প্রতিনিয়ত রোজ পাঠক আসতেন।একই অবস্থা বহড়ু শ্যামসুন্দর পাবলিক লাইবেরী,জয়নগর বান্ধব লাইব্রেরি, মজিলপুর শিবনাথ শাস্ত্রী পাঠাগার সহ আরো অনেক।একে একে এই পাঠাগারের কর্মী অবসর নিয়েছে তারপর থেকে গ্রন্থাগারের তালা মারা অবস্থায় পড়ে রয়েছে।প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে কর্মী সংকটের কারণে রীতিমতো জেলার বহু গ্রন্থাগার বন্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে।যদিও এ প্রসঙ্গে স্থানীয় এক পাঠক বলেন, বহুবার গ্রন্থাগার দফতরে জানিয়েও কোনো কাজ হয়নি।আমরা চাই আগের মত ভাবে গ্রন্থাগার গুলি খোলা হোক। আর এই বন্ধের কারণে পাঠকের সংখ্যা অনেক কমে গেছে আগের মতো আর মানুষ সেভাবে গ্রন্থাগারের প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছে না। মানুষ আস্তে আস্তে গ্রন্থাগারের কথা খুলতে শুরু করেছে।যতই মোবাইল টিভি আসুক না কেন বই পড়ার মধ্যে হাত একটা অনুভূতি থাকে অনেক কিছু শেখার আছে বইয়ের মধ্যে থেকে।যদিও এ বিষয়ে স্থানীয় জয়নগরের বিধায়ক বিশ্বনাথ দাস বলেন, আমি বিধায়ক হবার পরে স্থানীয় গ্রন্থাগারে বেশ কিছু বই দিয়েছিলাম তবে সেভাবে আর পাঠক দেখা যায় না তবে গ্রন্থাগার গুলি যাতে নিয়মিত খোলা যায় তা দেখা হচ্ছে।এবিষয়ে রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী বলেন,কর্মী নিয়োগ চলছে।খুব শ্রীঘ্রই আবার গ্রন্থাগার গুলো আবার খুলবে।কিন্তু গ্রন্থাগার মন্ত্রীর আশ্বাসের পরেও নিয়োগ না হওয়ায় এখনো বন্ধ জয়নগরের গ্রন্থাগারগুলি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here