২৮ তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে তৃতীয় দিন জমে উঠেছিল নন্দন চত্বরে তিল ধরনের জায়গা ছিল না। সুর না গায়ক এই নিয়ে জমে উঠেছিল আড্ডা আড্ডা সূচনা করেন অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় ছিলেন হৈমন্তী শুকনা, সুরজিৎ, জোজো লগ্নজিতা সহ আরো অনেকে। স্বল্পদৈর্ঘ্যের হিন্দি ছবি আফটার দ্যাট নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক হয়। অনিন্দ্য চ্যাটার্জির নির্দেশনায় এই ছবিটিতে আছেন শান্তি লাল মুখার্জি, রজতাভ দত্ত , বিদিতা বাগ সমদর্শী দত্ত। সম্পাদনা করেছেন নীলাদ্রি রায়। প্রযোজক সমরিতা ভট্টাচার্য। তৃতীয় দিনের আরেকটি আকর্ষণীয় বিষয় ছিল সত্যজিৎ রায় শারক বক্তৃতা বক্তৃতা প্রদান করেন সুধীর মিশ্র। বিষয় ছিল সিনেমাকে পর্যালোচনা করা এই অটিটির যুগে। শিশির মঞ্চ কানায় কানায় ছিল পূর্ণ নবীন প্রবীণ অভিনেতা অভিনেত্রী সহ নবীন তথ্যচিত্র পরিচালক সহ সিনে প্রেমীরা। সুধীরবাবু তার বক্তব্যের প্রথমেই স্পষ্ট করে দেন ওটিটি নবীন প্রজন্মের জন্য বেশ আশার আলো দেখাচ্ছে। কিছু করার ইচ্ছেকে অন্তত প্রকাশ করতে পারছে। কিছু কিছু দর্শকের প্রশ্ন ছিল ওটিটি কি অনেক বেশি খুল্লামখুল্লা হওয়ার প্রেরণা জাগাচ্ছে তার উত্তরে মিশ্র বাবু বলেন কখনোই তা হতে পারে না কারণ সবই যে দর্শককে দেখতে হবে তার কোন মানে নেই যার মনে হয় সে সেটি না দেখলেই পারে। তবে হ্যাঁ যা কিছু করার রুচিবোধকে বজায় রেখেই এগিয়ে যাওয়া দরকার। এই প্লাটফর্ম না থাকলে হয়তো নতুন প্রজন্ম হারিয়ে যেত। ওটিটির পরিধি অনেক বেশি তাই এর দর্শক খুবই সচেতন এবং দর্শক হওয়ার মতন দর্শক আসলে সিনেমা দেখতে গেলে ভালো দর্শক হওয়াটা অনেক বেশি প্রয়োজন। এবং এই প্লাটফর্ম কিন্তু মনে রাখতে হবে টেলিভিশনকে পাশে সরিয়ে দিতে সক্ষম হচ্ছে। সিনেমাও যে খন্ড খন্ড ভাবে দেখা যায় তা প্রমাণ করে দিচ্ছে এই প্ল্যাটফর্ম। সেন্সর বোর্ড নিয়ে কিছু প্রশ্ন বানের উত্তরে তিনি বলেন। তার কোন অভিযোগ নেই কারণ তারা তাদের মতন দেখেন। তবে তিনি বারবার মনে করিয়ে দেন কিছু কিছু ক্ষেত্রে নবীন প্রজন্মদের কাজ করার সুযোগ দেওয়ার জন্য সরকারের মাথা গলানো দরকার উদাহরণ হিসেবে সত্যজিৎ রায় পথের পাঁচালী এবং বিধান চন্দ্র রায়ের প্রসঙ্গ তিনি টেনে আনেন। তিনি বলেন সরকার কিছুটা হস্তক্ষেপ করলে নতুন পরিচালক বাংলার নাম উজ্জ্বল করতে পারবে। তার অকপট ভাষণ সকলের মন জয় করে নেয়। ঠান্ডায় এবং উৎসবের মরশুমে জমে উঠেছে কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসব। তারকাদের হাতের সামনে পেয়ে সেলফি ফটো তোলায় জমজমাট নন্দন চত্বর।