(জেলা উত্তর ২৪ পরগণা)
দক্ষিণ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের অধীনে বর্ডার ফাঁড়ি ডোবিলা, ১৫৩ ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা চোরাকারবারিদের পরিকল্পনা নস্যাৎ করে, আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে ০৫ টি সোনার বিস্কুট সহ এক পাচারকারীকে আটক করেছে। চোরাকারবারি এসব বিস্কুট বাংলাদেশ থেকে ভারতে নিয়ে আসার চেষ্টা করছিল।
ঘটনাটি ১৭ এপ্রিল, ২০২৩ তারিখের, জওয়ানরা নিশ্চিত তথ্য পায় যে বাংলাদেশ থেকে সোনা পাচার হতে পারে। নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে, জওয়ানরা এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান শুরু করে। তথ্যের ভিত্তিতে, জওয়ানরা দেখতে পান একটি মোটরসাইকেল আরোহী আমুদিয়া গ্রাম থেকে ডোবিলার দিকে আসছে। কাছে এলে জওয়ানরা তাকে বাধা দিলে সে পালানোর চেষ্টা করে কিন্তু তৎক্ষণাৎ জওয়ানরা তাকে সেখানে আটক করে সীমান্ত চৌকিতে নিয়ে আসে। চৌকিতে তাকে তল্লাশি করা হলে তার উরু থেকে সেলো টেপ বাঁধা ০৫ টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার হয়। ধৃত পাচারকারীর পরিচয় – দেবাশীষ দেবনাথ, জেলা উত্তর ২৪ পরগনা। জব্দ করা সোনার ওজন ৫৮১.২৭ গ্রাম এবং যার মোট মূল্য ৩৬,৩১,৫৬৮/- টাকা।
ধৃত পাচারকারী জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, ১৫ দিন আগে তার মোবাইলে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে বাংলাদেশের সাতক্ষীরার বাসিন্দা গগন মন্ডল নামে এক বাংলাদেশি ব্যক্তির কল আসে। বাংলাদেশি ওই ব্যক্তি তাকে ০৫ টি সোনার বিস্কুট দেবে বলে জানান এবং পরে এই বিস্কুটগুলো সায়েস্তা নগরের নয়ন নামে এক ব্যক্তির হাতে তুলে দিতে হবে। এই কাজের জন্য সে ২০০০/- টাকা পাবে। টাকার লোভে সে রাজি হয়ে যায়। সে আরও জানান, এর পর সে মোটরসাইকেলে সোনার বিস্কুট নিয়ে আসছিল, কিন্তু পথেই বিএসএফ জওয়ানরা তাকে ধরে ফেলে।
আটক চোরাকারবারী ও জব্দকৃত সোনার বিস্কুট পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শুল্ক অধিদপ্তর, তেঁতুলিয়ায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের মুখপাত্র বলেন, চোরাকারবারীরা নতুন নতুন উপায়ে পাচারের চেষ্টা করে। কিন্তু বিএসএফ জওয়ানদের সতর্কতা এবং বোঝাপড়ার কারণে চোরাকারবারীরা ক্রমাগত ধরা পড়ছে এবং তাদের পরিকল্পনা প্রতিনিয়ত নস্যাৎ করা হচ্ছে। তিনি জওয়ানদের এত বড় সাফল্যে খুশি প্রকাশ করেছেন ।
বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স সীমান্তে বসবাসকারী লোকদের কাছে আবেদন করে যে, যদি তাদের কাছে সোনা চোরাচালান সংক্রান্ত কোনো তথ্য পাওয়া যায়, তাহলে তারা বিএসএফের সীমা সাথী হেল্পলাইন নম্বর ১৪৪১৯ এ যোগাযোগ করে জানাতে পারেন। এ ছাড়া দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তে আরও একটি নম্বর ৯৯০৩৪৭২২২৭ জারি করেছে, যাতে সোনা চোরাচালান সংক্রান্ত তথ্য হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ বা ভয়েস মেসেজ করে পাঠানো যাবে। সঠিক তথ্য প্রদানকারী ব্যক্তিকে উপযুক্ত পুরস্কারের অর্থ প্রদান করা হবে এবং তার পরিচয় গোপন রাখা হবে।
(জেলা নদীয়া)
১৭ এপ্রিল, ২০২৩ তারিখে, দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের সীমা চৌকি সিকরা, ৮২ ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে কাজ করে, তাদের এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে এবং আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে ক্ষেত থেকে তিনটি সোনার বিস্কুট উদ্ধার করে।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় যে, চোরাকারবারীরা বাংলাদেশ থেকে চোরাচালানের উদ্দেশ্যে এসেছিল। বিএসএফ জওয়ানদের সতর্কতা দেখে চোরাকারবারী ভারতীয় সীমান্তের একটি ক্ষেতে সোনা লুকিয়ে রেখে পালিয়ে যায় । এর পরে, জওয়ানরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পুরো এলাকায় তল্লাশি চালায়। মাঠে তল্লাশির সময় জওয়ানরা পলিথিনে মোড়ানো তিনটি সোনার বিস্কুট উদ্ধার করে। জব্দ করা তিনটি সোনার বিস্কুটের ওজন ৩৪৯.৯১০ গ্রাম, যার আনুমানিক মূল্য ২১,৮৬,০৬২/- টাকা।
জব্দ করা সোনার বিস্কুট গুলি শুল্ক দফতর তেহাট্টায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের মুখপাত্র বলেন, চোরাকারবারীরা নতুন নতুন উপায়ে পাচারের চেষ্টা করে। কিন্তু বিএসএফ জওয়ানদের সতর্কতা এবং বোঝাপড়ার কারণে চোরাকারবারীরা ক্রমাগত ধরা পড়ছে এবং তাদের পরিকল্পনা প্রতিনিয়ত নস্যাৎ হচ্ছে। তিনি জওয়ানদের এত বড় সাফল্যে খুশি প্রকাশ করেছেন ।
বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স সীমান্তে বসবাসকারী লোকদের কাছে আবেদন করেছে যে, যদি তাদের নজরে সোনা চোরাচালান সম্পর্কিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়, তাহলে তারা বিএসএফের সীমা সাথী হেল্পলাইন নম্বর ১৪৪১৯ এ যোগাযোগ করতে পারেন। এ ছাড়া দক্ষিণবঙ্গ সীমান্ত দ্বারা আরও একটি নম্বর ৯৯০৩৪৭২২২৭ জারি করা হয়েছে, যাতে সোনা চোরাচালান সংক্রান্ত তথ্য হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ বা ভয়েস মেসেজ করে পাঠানো যাবে। সঠিক তথ্য প্রদানকারী ব্যক্তিকে উপযুক্ত পুরস্কারের অর্থ প্রদান করা হবে এবং তার পরিচয় গোপন রাখা হবে।
(জেলা-মালদা)
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ তারিখের প্রায় ০৩৩০ ঘটিকায়, দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের সীমা চৌকি নাদিরখানা, ৭০ ব্যাটালিয়নের জোয়ানরা সীমান্ত এলাকায় চোরাচালানকারীদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে ২,৯৭,৬৯৯/- টাকা মূল্যের ১৪৫০ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করেছে।
সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দাদের ভিত্তিতে,আগে থেকেই অ্যাম্বুশে বসে থাকা জওয়ানরা কিছু চোরাকারবারীর সন্দেহজনক কার্যকলাপ লক্ষ্য করে। জওয়ানরা দেখে যে পাচারকারীরা প্লাস্টিকের ব্যাগে কিছু জিনিসপত্র নিয়ে সীমান্তের দিকে এগোচ্ছে। জওয়ানরা তাদের অনুসরণ করে চ্যালেঞ্জ জানায়। জওয়ানদের তাদের দিকে আসতে দেখে পাচারকারীরা সেখান থেকে পুকুর ও আম বাগানের আড়াল নিয়ে পালিয়ে যায়। এর পরে জওয়ানরা এলাকাটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তল্লাশি চালায় এবং ঘটনাস্থল থেকে ১৪৫০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে।
জব্দকৃত ফেনসিডিল পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইংরেজবাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
৭০ ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার বলেছেন যে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে চোরাচালান রোধে সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী ক্রমাগত কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও এই প্রচেষ্টা চলবে। তিনি বলেন, এলাকায় আরও তৎপরতা বাড়াতে হবে। তিনি আরও বলেন যে বিএসএফ কিছু কুখ্যাত চোরাকারবারীর নাম স্থানীয় পুলিশের সাথে বিনিময় করেছে এবং তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কার্যক্রম শুরু হচ্ছে।
বিএসএফ গর্ভবতী মহিলাকে প্রসবের জন্য সময়মতো হাসপাতালে নিয়ে যায়
(জেলা-মালদা)
সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী যে কোনো পরিস্থিতিতে দেশের সীমান্ত তথা সীমান্তবর্তী বাসিন্দাদের সাহায্য করতে সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের ৭০ ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা তারই উদাহরণ উপস্থাপন করেছে।
১৭ এপ্রিল, ২০২৩ তারিখে, এম এস পুর গ্রামের হাজেরা খাতুন (২৪) নামক এক মহিলার প্রসব বেদনা শুরু হয়। গ্রামে অ্যাম্বুলেন্স ও যাতায়াতের ব্যবস্থা না থাকায় মহিলার স্বজনরা সাহায্যের জন্য বিএসএফ এর সীমান্ত চৌকি মহাদিপুরের কোম্পানি কমান্ডারের কাছে যান। দেরি না করে কোম্পানি কমান্ডার পীড়িত মহিলাকে বিএসএফ অ্যাম্বুলেন্সে করে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র গোলাপগঞ্জে পাঠান। ওই মহিলার অবস্থা এখন ভালো বলে জানা গেছে।
বিএসএফের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন মহিলার স্বামী
মহিলার স্বামী সফিকুল ইসলাম এই মানবিক কাজের জন্য সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বিএসএফ আমাদের প্রতিটি সুখ-দুঃখে সর্বদা দেবদূতের মতো দাঁড়িয়ে থাকে।
৭০ ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার জওয়ানদের এই প্রশংসনীয় কাজের জন্য আনন্দ প্রকাশ করেন এবং বলেন যে সীমান্তে সংঘটিত অপরাধ দমনের পাশাপাশি সীমান্তবাসীদের সাহায্য করতে সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে। এ কারণে সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী ও সাধারণ জনগণের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রয়েছে।