কলকাতার ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (আইইএম) এবং ইউনিভার্সিটি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (ইউইএম), ভারতের অন্যতম বৃহৎ টেকনো-ম্যানেজমেন্ট ফেস্টিভ্যাল ‘ইনোভেশিয়ান ২০২৫’ এর আয়োজন করে। স্মার্ট সোসাইটি, ইউএসএ এবং রোটারি ক্লাব অফ সল্টলেক সিলিকন ভ্যালি-এর সহযোগিতায় আয়োজিত এই আন্তর্জাতিক ইভেন্টে বিশ্বজুড়ে উদ্ভাবক, শিল্প বিশেষজ্ঞ এবং শিক্ষাবিদরা অংশ নেন।
এই বছর আইআইটি, এনআইটি, জেইউ, আইআইইএসটি-এর মতো ভারতের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলির পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রোমানিয়া, পর্তুগাল, রাশিয়া, নেপাল, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা সহ বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় অংশ নেয়। ১৫০টিরও বেশি অভিনব প্রকল্প ও ১০০টিরও বেশি টেকনিক্যাল পোস্টার প্রদর্শনীর মাধ্যমে আইইএম-ইউইএম উদ্ভাবন, গবেষণা এবং শিল্প সহযোগিতার ক্ষেত্রে নিজেদের দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে।
উপস্থিত ছিলেন এসটিপিআই, কলকাতা অ্যান্ড ইস্টার্ন ইন্ডিয়া এর ডিরেক্টর মঞ্জিত নায়ক; টেক মাহিন্দ্রা এর ভাইস প্রেসিডেন্ট অভিজিৎ পাল; পিডাবলইউসি এর ডেটা অ্যান্ড অ্যানালিটিক্স এর পার্টনার ইন্দ্রনীল মিত্র; পশ্চিমবঙ্গ সরকার এর যুগ্ম সচিব সঞ্জয় কুমার দাস; অ্যাকসেঞ্চার এর টেকনোলজি সলিউশানস লিড শঙ্কর ঘোষ; আইইএম-ইউইএম গ্রুপের প্রেসিডেন্ট প্রফেসর বনানী চক্রবর্তী এবং ডিরেক্টর প্রফেসর সত্যজিৎ চক্রবর্তী।
অনুষ্ঠানের সাফল্য নিয়ে আইইএম-ইউইএম গ্রুপের প্রেসিডেন্ট প্রফেসর বনানী চক্রবর্তী বলেন, “ইনোভেশিয়ান ২০২৫ আমাদের তরুণ উদ্ভাবকদের উৎসাহিত করার প্রতিশ্রুতিরই প্রতিফলন। আমরা গর্বিত যে এই প্ল্যাটফর্মটি নিত্য-নতুন চিন্তা-ভাবনা কে বাস্তবায়িত করতে সাহায্য করছে।”
এই অনুষ্ঠানে রোবটিক্স, এআই, গেমিং, এবং ব্যবসায়িক উদ্ভাবনের দুর্দান্ত সমন্বয় দেখা গেছে। কিছু উল্লেখযোগ্য প্রকল্পের মধ্যে ছিল ওয়েস্ট অয়েল রিসাইক্লার (বর্জ্য তেল পুনর্ব্যবহার প্রযুক্তি), রিফ্রেশেবল ব্রেইল ডিসপ্লে (দৃষ্টিহীনদের জন্য উন্নত পাঠ্যপ্রদর্শনী), কোয়ান্টাম লিপ, এআই চালিত স্মার্ট হেলমেট, স্বয়ংক্রিয় কৃষি ড্রোন, ইত্যাদি।
আইইএম-ইউইএম গ্রুপের ডিরেক্টর প্রফেসর সত্যজিৎ চক্রবর্তী বলেন, “ইনোভেশিয়ান ক্রমশ বিশ্বমানের উৎসবে পরিণত হয়েছে, যেখানে শীর্ষস্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিল্প বিশেষজ্ঞদের অংশগ্রহণ দিন দিন বাড়ছে। এখানকার উদ্যম ও সৃজনশীলতা প্রমাণ করে যে আমরা ভবিষ্যতের প্রযুক্তি ও ব্যবস্থাপনার পথপ্রদর্শকদের গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি নিয়ে এগিয়ে চলেছি।”
বেসিক সাইন্স অ্যান্ড হিউম্যানিটিজ অ্যান্ড ফ্যাকাল্টি হেড, ইনোভেশিয়ান ২০২৫ -এর বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর প্রবীর কুমার দাস বলেন, “ইনোভেশিয়ান ২০২৫ শুধু একটি ইভেন্ট নয়, এটি নতুন আইডিয়ার জন্ম দেয় এবং ভবিষ্যতের প্রযুক্তিকে বাস্তব রূপ দিতে সাহায্য করে।”
৯ই মার্চ পর্যন্ত নির্ধারিত এই টেক-ফেস্টিভ্যাল প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ, সৃজনশীল সমস্যার সমাধান এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত তুলে ধরে। ১০,০০০-এর বেশি দর্শক, ১০০-র বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ এবং ১৫টিরও বেশি দেশের সংযোগ আইইএম-ইউইএম গ্রুপকে শিক্ষা, গবেষণা ও শিল্প সহযোগিতার নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে।