নিজস্ব প্রতিনিধি: জাদু জগতে দ্রোণাচার্য পিসি সরকার জুনিয়র এর ৭৫ তম জন্মদিবস উপলক্ষে বারুইপুরের কোটালপুর মধুসূদন হাইস্কুলের ভিতরে এক অভিনব অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল উপস্থিত ছিলেন স্বয়ংaপ্রদীপ চন্দ্র সরকার। অনাথ শিশু এবং কিছু বৃদ্ধাদের নিয়ে এই দিনটি পালন হল। ৭৫ টি চারা গাছ প্রদান করা হলো। ছোট্ট একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। এই অনুষ্ঠানে তার স্বামীকে কিভাবে বাঘের মুখ থেকে বাঁচিয়ে এনেছিল সেই গল্প শোনান জ্যোৎস্না শি, তার স্বামী শংকর শির গায়ে উঠে পড়েছিল বাগ কিন্তু জ্যোৎস্না সেই বাঘের চোখে চোখ রেখে লড়াই করে স্বামীকে ঘরে ফিরিয়ে আনে। স্বামীর চিকিৎসার জন্য জমি বন্ধক রাখতে হয়েছিল ৪০০০ টাকার বিনিময়ে। এই দিনের অনুষ্ঠানে আয়োজকরা তার হাতে ৪০ হাজার টাকার চেক তুলে দিল যাতে সে তার জমি ফিরিয়ে নিয়ে সেখানে চাষ করতে পারে। এছাড়াও এদিনের অনুষ্ঠানে দাঙ্গার পুতুল নাচ পরিবেশন করেন স্বর্ণশ্রী মণ্ডল ও রাজ্যশ্রী মন্ডল। সুরের জাদুর মূর্ছনায় সকলকে মোহিত করেন বেহালা বাদক ভগবান মালি। সঙ্গীত পরিবেশন করেন সংগীতের ২ জাদুকর শ্যামকল্যাণ ভট্টাচার্য ও স্পন্দন ভট্টাচার্য। এদিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইপিএস তথা হাওড়া পুলিশের পুলিশ কমিশনার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য ও তার স্ত্রী পৌলোমী ভট্টাচার্য। দ্যুতিমান বাবু একাধারে চিত্রশিল্পী এবং লেখক ভুগোল নিয়ে অগাধ জ্ঞান , তার দুটি বই উপহার দেন পিসি সরকার জুনিয়র কে। এছাড়াও তাদের বুটিকের সামগ্রিক তুলে দেন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের। প্রথাগতভাবে এইদিন কেক কাটা হয় এবং প্রাইস খাওয়ানো হয় জাদু দ্রোণাচার্যকে। আরাত্রিকা, অনিস্কা এবং আরশিয়া এই তিন খুদের বেহালার সুর সমাপ্তি ঘটায় অনুষ্ঠানের। পিসি সরকার জুনিয়র তার জীবনের নানান গল্প সকলের কাছে তুলে ধরেন কার পোষ্য সিংহের গল্প সবার কাছে বলেন। সমগ্র অনুষ্ঠানের আয়োজক উজ্জ্বল সরদার জানান পিসি সরকার সব সময় বলে থাকেন যার যেই জিনিসটা খুব ভালো পারেন তিনি সেই জিনিসের জাদুকর তাই বিভিন্ন জগতের জাদুকর দেননি এই হল আজকের এই অনুষ্ঠান জীবনের জাদুঘর হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জ্যোৎস্না শি এবং শংকর শি। সবশেষে বার্থডে বয় কে পাঁচ রকম ভাজা এবং পঞ্চ ব্যঞ্জন মধ্যাহ্নভোজ করানো হয় সেই ছবিও প্রকাশ পেল এই প্রথম আমাদের ওয়েব পোর্টালে। সকলেই আশায় আছেন তাদের ছোট্ট জুনিয়রকে ১০০ বছরের জন্মদিন টা এমন ভাবে উপহার দেবেন। এই দিন চেতনার হিন্দ সংঘ এবং আলিপুর বার্তার পক্ষ থেকেও পুষ্পস্তবক দিয়ে তাকে কুর্নিশ জানানো হয়।