মলয় সুর, মুর্শিদাবাদ : ভাগীরথী নদীতে বিশ্বের দীর্ঘতম এই ৮১ কিলোমিটার সাঁতার প্রতিযোগিতায় প্রথম হলেন বর্ধমানের প্রত্যয় ভট্টাচার্য। তিনি সময় করেন( ১০ ঘন্টা ৫৫ মিনিট ৪৬ সেকেন্ড)। দ্বিতীয় হলেন বহরমপুরের তপু সরকার (১১ ঘন্টা ৪২ মিনিট ৩৯ সেকেন্ড ), তৃতীয় মহারাষ্ট্রের পার্থসন্দীপ হাটানকার। সে সময় করেছে (১১ ঘন্টা ৫৪ মিনিট ৩৬ সেকেন্ড)। এবার বিশেষভাবে নজর কেড়েছেন মহারাষ্ট্রের আয়ুস পারভিন তাওরে। আয়ুশ চোদ্দ বছর বয়সী নবম শ্রেণীর ছাত্র। ৮১ কিমি সাঁতার বিভাগে সে সর্বকনিষ্ঠ সাঁতারু পঞ্চম স্থান অধিকার করে। ৭৮ তম ঐতিহ্যবাহী এই সন্তরণ প্রতিযোগিতা আয়োজন করে মুর্শিদাবাদ সুইমিং অ্যাসোসিয়েশন। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের প্রায় ৪৭ জন প্রতিযোগি অংশগ্রহণ করেন। রবিবার ভোরে জঙ্গিপুরের আহিরণ ঘাট থেকে ৮১ কিলোমিটার শুরু হয়ে শেষ হয় বহরমপুরের জগন্নাথ ঘাটে। এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেন ৯ জন পুরুষসহ ২ জন মহিলা। অন্যদিকে ১৯ কিলোমিটার সঞ্চালন প্রতিযোগিতা শুরু হয় ঐদিন দুপুরে জিয়াগঞ্জ সদরঘাট থেকে বহরমপুর গোরাবাজার কৃষ্ণনাথ কলেজ ঘাট পর্যন্ত। এতে পুরুষ ও মহিলা মিলিয়ে ৩৮ জন প্রতিযোগী যোগ দেন। এদিন মহিলা বিভাগে প্রথম হন কলকাতার বিশাখা ধাড়া। সে সময় করেন (২ ঘন্টা ২২ মিনিট ৪২ সেকেন্ড) । কলেজ ছাত্রী বিশাখা বলেন, আগামী দিনে দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় নামার ইচ্ছে রয়েছে। দ্বিতীয় অস্মিতা কর্মকার (দু ঘন্টা ২৪ মিনিট ৪৫ সেকেন্ড ) এবং তৃতীয় ইশিতা সাহা (২ ঘণ্টা ২৬ মিনিট ১ সেকেন্ড ) । এছাড়া পুরুষ বিভাগের প্রথম গৌরব কাবেরী (২ ঘন্টা ১৪ মিনিট ২৫ সেকেন্ড), দ্বিতীয় বেদান্ত যোগেশ গর্গ( ২ ঘণ্টা ১৮ মিনিট ৪ সেকেন্ড), তৃতীয় নয়ন দে (২ ঘন্টা 18 মিনিট 46 সেকেন্ড) সংগঠনের সেক্রেটারি দেবেন্দ্রনাথ দাস বলেন ব্রিটিশ আমলে এই সাঁতার প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল। ভারতকে স্বাধীন করার জন্য ভারতবাসীর যে লড়াই ছিল তাকে অনেকটা উৎসাহ জুগিয়ে ছিল এই সাঁতার প্রতিযোগিতা। অন্যান্য বছর একাধিক বিদেশি সাতারু অংশ নিলেও এবার কোন বিদেশী প্রতিযোগিতা ছিল না। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাসার সভাপতিরা রামানুজ মুখোপাধ্যায় , বহরমপুরের তৃণমূল সাংসদ ইরফান পাঠান, জেলাশাসক শামসুর রহমান , মুর্শিদাবাদের সাংসদ আবু তাহের খান সহ বিশিষ্ট জনেরা। এদিন প্রতিযোগিতা দেখতে বহরমপুর কৃষ্ণনাথ কল