আমিরুল ইসলাম, হরিশ্চন্দ্রপুরঃ-

২৯জানুয়ারি: জেলায় মুখ্যমন্ত্রী এবং রাহুল গান্ধীর সফরের প্রাক্কালেই প্রতিবন্ধী সার্টিফিকেটের জাল প্রতারণা চক্রে গ্রেপ্তার আরো ২। গভীরে প্রতারণা চক্রের জাল। প্রতারিত হাজার হাজার সাধারণ মানুষ। ধৃতদের মধ্যে একজন কংগ্রেসের বুথ সভাপতি এবং অন্যজন তৃণমূল কর্মী। স্বাভাবিক ভাবে এই ঘটনা সামনে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূলের আমলে প্রত্যেকটা প্রশাসনিক দপ্তরে প্রতারণা চক্র চলছে।ঠগ বাছতে গা উজার হয়ে যাবে তৃণমূলকে তোপ বিরোধীদের। তৃণমূলের আমলে প্রশাসন সক্রিয় তাই প্রতারকরা গ্রেপ্তার হচ্ছে দাবি তৃণমূলের। মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত উত্তর শালদহ গ্রামে জনসংযোগ এবং পাড়ায় সমাধান কর্মসূচিতে প্রতিবন্ধীদের দেওয়া জাল সার্টিফিকেটের প্রতারণা চক্রের পর্দা ফাঁস হয়। পর্দাফাঁস করেন বিডিও সৌমেন মন্ডল। সমগ্র ঘটনায় পুলিশের এক হোমগার্ড,এক তৃণমূল কর্মী সহ তিনজন গ্রেপ্তার হয়।জানা যায় দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল এই প্রতারণা চক্র।যেখানে বিভিন্ন এলাকার বহু মানুষ প্রতারিত হয়েছে।যাদেরকে মোটা টাকার বিনিময়ে দেওয়া হয়েছে জাল সার্টিফিকেট। এমনকি অনেকে প্রতিবন্ধী না হওয়া সত্ত্বেও ওই জাল সার্টিফিকেট দিয়ে ভাতা পাচ্ছে।আর বঞ্চিত হয়েছে প্রকৃত উপভোক্তা।ধৃতদের জেরা করে এই প্রতারণা চক্রের সঙ্গে যুক্ত আরো দুইজনের নাম উঠে আসে। মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরের প্রতারকদের জালে আনতে তৎপর হয় হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।গ্রেপ্তার হয় ডমরকলা গ্রামের বাসিন্দা মাসুম এবং ঝিকোডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা রাশেদুল হক।মাসুম তৃণমূল কর্মী এবং রাসেদুল হক কংগ্রেসের বুথ সভাপতি।ধৃতদের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে চাঁচল মহকুমা আদালতে পেশ করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।এদিকে সমগ্র ঘটনা সামনে আসতেই কংগ্রেস এবং তৃণমূলকে একযোগে আক্রমণ করেছে বিজেপি। বিজেপির অভিযোগ তৃণমূলের আমলে প্রশাসনিক দপ্তর ঘুঘুর বাসায় পরিণত হয়েছে।কংগ্রেসও তৃণমূলের দুর্নীতিতে মদত যোগাচ্ছে সুযোগ পেলেই।যদিও কংগ্রেসের মতে এর পেছনে অনেক রাঘববোয়ালেরা রয়েছে তৃণমূলের। তৃণমূলের মদতে সব হচ্ছে। পাল্টা তৃণমূলের দাবি প্রশাসন এবং পুলিশ যথেষ্ট সক্রিয়। তাই প্রতারকরা গ্রেপ্তার হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here