বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতিতে শেয়ার বাজার’কে বিকল্প এক আয়ের উৎস বলে এই মুহূর্তে মনে করেছেন শেয়ার বিশেষজ্ঞরা। এ নিয়ে কলকাতায় এক আলোচনা সভায় যোগ দিয়ে সেকথা জানালেন সার্টিফায়েড রিসার্চ এনালিস্ট ও শেয়ার বাজার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ‘স্কুল অফ ডে টেডার্সের’ মুখ্য গবেষক ভোলানাথ দাস।
তিনি বলেন, লটারির বদলে শেয়ার কিনলে লাভ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি । তার জন্য দরকার একটু চর্চা।
লটারির টিকিট কেনার সময় কেউ ঝুঁকির কথা বলেন না, কিন্তু শেয়ার বাজারে যে কোনও রকম বিনিয়োগ করলেই সকলে ঝুঁকির প্রসঙ্গ টেনে আনেন। শেয়ার বাজারে ঝুঁকি আছে অবশ্যই, কিন্তু ব্যবসা করার মতো বুঝে ও শুনে বিনিয়োগ এবং লোভ না করে ঠিকমতো বিনিয়োগ করলে সেই ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায় বলেও তিনি জানান।
তিনি বলেন, বাঙালিদের মধ্যে এখনও শেয়ার বাজার সম্পর্কে সচেতনতার অভাব রয়েছে এবং তাদের মধ্যে ভীতি রয়েছে। তাই অনেক বাঙালি লটারিতে বিনিয়োগ করেন অথচ শেয়ারে বিনিয়োগ করতে ভয় পান। তিনি বলেন, যে কোনও মানুষের মতোই কলেজ ছাত্রছাত্রীরাও মাত্র কয়েক ঘণ্টা প্রতিদিন কাজ করে বিকল্প আয় পেতে পারেন।
শেয়ার বাজারে সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হল, না জেনে বা সঠিক পদ্ধতিতে শেয়ার বাজার সম্পর্কে না বুঝে বিনিয়োগ করা। এজন্য প্রয়োজনে স্কুল অফ ডে টেডার্সের মতো প্রতিষ্ঠানগুলি থেকে এই বিষয়ে কারও পরামর্শ নেওয়া অথবা বই কিনে পড়াশোনা করার পরামর্শ তিনি দিয়েছেন। যাঁরা অন্য পেশার সঙ্গে যুক্ত তাঁরাও অল্প সংখ্যক শেয়ার কিনে কিছুদিন পরে দাম উঠলে তা বিক্রি করতে পারেন। দরকারে তা ধরেও রাখতে পারেন দীর্ঘ দিনের মেয়াদে। কলকাতায় আই লিড ইন্সটিটিউটে এ বিষয়ে এক আলোচনাসভায় ভবিষ্যতে যাঁরা নেতৃত্ব দিতে চান তাঁদের সঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করার মাঝেই শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের পরামর্শ দিলেন তিনি।