বধুর কান ছিঁড়লো স্বামী,থানায় অভিযোগ দায়ের,তদন্তে পুলিশ

0
160

সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং –

এক গৃহবধু কে বেধড়ক মারধোর করে তাঁর কান ছিঁড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠলো খোদ স্বামীর বিরুদ্ধে।ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার।আর এমন ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। আক্রান্ত গৃহবধু ইতিমধ্যে ক্যানিং থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত শুরু করেছে ক্যানিং থানার পুলিশ।স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে গত প্রায় ১৬ বছর আগে বহিরহাট মহকুমার বেড়াচাঁপার দক্ষিণ আমুলিয়া গ্রামের দীপা মন্ডলের বিয়ে ক্যানিংয়ের হাটপুকুরিয়া পঞ্চায়েতের মরাপিয়া গ্রামের মন্ডল পাড়ার আলিফার মন্ডলের সাথে।দম্পতির দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে।অভিযোগ বিয়ের পর থেকে বধুর স্বামী অকথ্য অত্যাচার করতো।অত্যাচারের হাত থেকে নিষ্কৃতি পেতে গত দুমাস আগে ওই বধু তাঁর তিন ছেলেমেয়ে কে নিয়ে বাপের বাড়িতে চলে যায়। ঘুঁটিয়ারী শরীফ এলাকায় ওই বধুর বাবা-মা ভাড়া বাড়িতে বসবাস করেন। সেখানেই থাকতে শুরু করেন।এরপর পেটের তাগদি কলকাতার পার্ক সার্কাস এলাকায় একটি কোম্পানীতে কাজ নেয় ওই বধু।অভিযোগ সেখানে গিয়েও অত্যাচার করতে থাকে।শনিবার ওই বধু যখন পার্কসার্কাস এলাকায় কোম্পানী তে কাজ করছিলেন,সেই সময় তাঁর স্বামী আলিফার মন্ডল সেখানে হাজীর হয়। ওই বধুকে বেধড়ক মারধর করে কান ছিঁড়ে নেয় বলে অভিযোগ।এরপর ওই বধু তাঁর বাপের বাড়ি ঘুটিয়ারী শরীফে ফিরে আসে।পরিবারের লোকজন তড়িঘড়ি ওই বধু কে চিকিৎসার জন্য ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর ওই বধু নিজেই ক্যানিং থানায় গিয়ে তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। বধু দীপা মন্ডল জানিয়েছেন, ‘প্রতিনিয়ত জুয়া খেলা করতো,এমন কি নেশাও করতো। প্রতিবাদ করলেই জুটতো বেদম প্রহার।অত্যাচার থেকে নিষ্কৃতি পেতে তিন ছেলেমেয়ে কে নিয়ে বাপের বাড়িতে উঠেছিলাম।বড় ছেলে স্বামীর কাছে থাকছিল।সংসার চালানোর তাগিদে পার্ক সার্কাস এলাকায় একটি কোম্পানি তে কাজ নিয়েছিলাম।যাতায়াতের সময় প্রতিনিয়ত মারধর করে অত্যাচার করতো আমার স্বামী।শনিবার পার্ক সার্কাসে গিয়ে কোম্পানির অফিস থেকে বের করে আমাকে বেধড়ক মারধর করে কান ছিঁড়ে নেয়।স্বামীর অত্যাচারের জর্জরিত হয়ে ক্যানিং থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।ওর কঠোর শাস্তি চাই।’অন্যদিকে বধুর অভিযোগ পেয়েই তদন্ত শুরু করেছে ক্যানিং থানার পুলিশ। 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here