উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়নগর : তেজপাতার দূর্গা এবার নজর কাড়বে সবার। বিভিন্ন পুজো প্যান্ডেলে বিভিন্ন ধরনের মূর্তি দেখা যায় পুজোর সময়। কোথাও সাবেকিয়ানার মূর্তি কোথাও বা আর্টের প্রতিমা পুজো করা হয়। কেউ মূর্তি বানান খড়, মাটি, রং ইত্যাদি দিয়ে। কোনও শিল্পী বানান ফেলে দেওয়া বস্তু কিংবা ভেষজ উপাদান দিয়ে। তবে তেজপাতা দিয়ে দুর্গা প্রতিমা বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিলেন সোনারপুরের এক যুবক জয়মাল্য মন্ডল।এক চালার প্রতিমায় একই সাথে রয়েছে লক্ষ্মী, গণেশ ও কার্তিক ও সরস্বতী। অসুরও বানানো হয়েছে তেজ পাতা দিয়েই। তেজপাতার তৈরি এই প্রতিমা পাড়ার মন্ডপে পূজা করা হবে। পুজোর পর তা গিনেসবুকে পাঠাতে চান জয়মাল্য। সোনারপুর কলেজের ইতিহাস অনার্সের ছাত্র জয়মাল্য। ছোটবেলা থেকেই পেন্টিং এবং নিজের হাতে কিছু বানানো নেশা ছিল তার।নিজের খেয়ালেই অনেক কিছু বানিয়েছে সে। এসব বানানোর ফাঁকে ফাঁকেই চলে পড়াশোনা।হঠাৎই বছর তিনেক আগে দুর্গাপুজোর সময় নিজেই মাটি দিয়ে দুর্গা প্রতিমা বানায় সে। যা দেখে চমকে গিয়েছিল তাঁর এলাকার বাসিন্দারা। তার পরের বছরই দেশলাই কাঠি দিয়ে প্রতিমা বানায় জয়মাল্য। এবার তেজপাতা দিয়ে দুর্গা প্রতিমা বানিয়ে সে। এলাকারই দোকান থেকে তেজপাতা কিনে এনে তা দিয়ে প্রতিমা বানায় জয়মাল্য। প্রতিবছরের মত এই বছরেও জয়মাল্যর তৈরি এই প্রতিমায় এ বছরও পাড়ার ক্লাবে পুজো করা হবে।একটি ঘরের নিত্য প্রয়োজনীয় ব্যবহার জিনিস আর সেখান থেকে তার উত্তরণ ঘটানো হচ্ছে শৈল্পিক নমনীয় অবয়বের মধ্যে। অর্থাৎ প্রতিদিন গৃহস্থের রান্নার কাজে ব্যবহৃত তেজপাতা দিয়েও যে একটি শৈল্পিক অবয়বের রূপ দেওয়া যায় সেই প্রচেষ্টাই আমরা করেছি। ছোট বড় বিভিন্ন ধরনের আর্টের মূর্তির আগে আমরা একাধিকবার দেখেছি। তবে তেজপাতার মতো বস্তু দিয়ে মা দুর্গার মূর্তি হয়তো সকলকেই অবাক করবে বলে এমনটাই মনে করছেন শিল্পী।