সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং- প্রবাদে প্রচলিত রয়েছে ‘নদীর তীরে বাস,বিপদ বারোমাস’।আর এই বিপদ প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে।সুন্দরবনের উপর একাধিকবার আঘাত হেনেছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ। তারমধ্যে উল্লেখ যোগ্য ২০০৯ সালের ২৫ মে আয়লা,২০১৯ এর ৮ নভেম্বরে বুলবুল,২০২০ সালের ২০ মে আম্ফান সাইক্লোন। বিগত বছর গুলিতে ওই সমস্ত প্রাকৃতিক দুর্যোগে ধ্বংস স্তূপে পরিণত হয়ে ছিল সমগ্র সুন্দরবন।এমনকি আয়লাতে সুন্দরবনের ৩৫০০ কিলোমিটার নদী বাঁধের মধ্যে ৭৭৮ কিলোমিটার নদীবাঁধ নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল। ঘূর্ণিঝড়ের তান্ডবে ঘরবাড়ি থেকে শুরু করে ম্যানগ্রোভ অরণ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ছিল।তবে বর্তমানে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে একটু একটু করে ঘুরে দাঁড়াচ্ছিল সুন্দরবন।আর সেই সময় আবহাওয়া দফতরের সূত্রে খবর আগামী ২২ মে উত্তর আন্দামান সাগর ও পূর্ব বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ অক্ষরেখা তৈরি হবে।যা থেকেই তৈরি হতে পারে সাইক্লোন।ঝড়ের অভিমুখ হতে পারে বাংলার দিকে।আর এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম ‘যশ’।প্রবল বেগে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ এমন খবর ছড়িয়ে পড়তেই আতঙ্কে প্রহর গুণতে শুরু করেছে ক্যানিং মহকুমা সহ সমগ্র সুন্দরবনবাসী। তবে ইতিমধ্যে বৃহষ্পতিবার দুপুরে ক্যানিং-১ বিডিও শুভঙ্কর দাস,ক্যানিং পশ্চিম কেন্দ্রের বিধায়ক পরেশ রাম দাস,ক্যানিং থানারআইসি আতিবুর রহমান,জেলাপরিষদ সদস্য সুশীল সরদার,তপন সাহা,মাতলা ২ পঞ্চায়েত প্রধান উত্তম দাস,ইটখোলা ও দিঘীরপাড় পঞ্চায়েত উপপ্রধান খতিব সরদার,মুকেশ মন্ডল সহ এলাকার সমস্ত পঞ্চায়েতের প্রধান,উপ প্রধান,পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক হয় ঘূর্ণিঝড়ের আগাম সতর্কবার্তা ও মোকাবিলার জন্য।বৈঠকে ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় বৃহষ্পতিবার থেকে শুরু হবে মাইকিংয়ের মাধ্যমে সর্তক বার্তা প্রচার।পাশাপাশি নদীতে বা সাগরে কেউ যাতে না যায় এবং যারা মাছ ধরতে গিয়েছে তারা যেন ফিরে আসে, সে বিষয়েও সতর্ক বার্তা দেওয়া হচ্ছে।এছাড়া ও যে সমস্ত মানুষজন নদীর পাড়ে বসবাস তাদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ও তোড়জোড় শুরু হয়েছে।সুন্দরবনের ক্যানিং-১ ও ২,বাসন্তী,গোসাবা সহ বিভিন্ন ব্লক গুলিতে তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে ঘূর্ণিঝড় যশ বিষয়ে সতর্ক করা বিষয়ে।আর বিষয়ে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন সরকারি আধিকারিক থেকে শুরু করে বিধায়ক,কোষ্টাল পুলিশ সহ বিভিন্ন দফতরের সরকারি কর্মীরা।