উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, কুলতলি : এপিডিআরের উদ্যোগে সোমবার সুন্দরবনের মৎস্যজীবিদের পরিচয়পত্র ও ভাতার জন্য স্মারকলিপি প্রদান কুলতলিতে। সুন্দরবন অঞ্চলের অধিকাংশ মানুষের জীবন -জীবিকা নদী, সমুদ্র কেন্দ্রীক। বছরের একটা নির্দিষ্ট সময় তাঁরা জলে নামতে পারেন না।আর এই সময়ের জন্য সরকারি অনুদান/ ভাতা আছে। কিন্তু সেই অনুদান/ভাতা সবার হাতে পৌঁছায় না। কারণ৷ তাদের অনেকেরই মৎস্যজীবির কার্ড, সমুদ্রসাথী কার্ড নেই।অনেকের হয়তো পুরাতন কার্ড আছে। সেই জন্য অনুদান/ ভাতা পাচ্ছেন না। তাছাড়া বহু মহিলা আছেন যাঁরা নদীতে মাছ, মীন ধরে সংসার চালায়, কিন্তু তাঁদের কোন কার্ড নেই। তাঁদের সরকারিভাবে কোন কার্ড দেওয়া হয় না। সেই জন্য কোন অনুদান/ ভাতা তাঁরা পান না। কোন রকম ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ক্ষতিপূরণ পান না। মাঝেমধ্যেই লাইসেন্স/কার্ড না থাকার অজুহাতে তাঁদের হেনস্থা করা হয়। জলে নামতে দেওয়া হয় না।তাঁদের জীবন -জীবিকায় আঘাত পড়ে।আর এই সব মৎস্যজীবিদের পাশে থেকে দীর্ঘদিন লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে এপিডিআর নামে একটি মানবাধিকার সংগঠন। আর এই সংগঠনের উদ্যোগে সোমবার প্রখর তাবদহকে উপেক্ষা করে মিছিল সহকারে কয়েকশো মৎস্যজীবিকে সঙ্গে নিয়ে কুলতলি বিডিও অফিসে স্মারকলিপি তুলে দিলো এপিডিআর।এ ব্যাপারে এই সংগঠনের দক্ষিন ২৪ পরগনা জেলার সহ সম্পাদক মিঠুন মন্ডল বলেন, আমরা এই সব মৎস্য জীবিদের তাদের নায্য অধিকারের দাবীতে তাদের পাশে আছি,আমরা এদিন বিডিওর কাছে কয়েকদফা দাবি রেখেছি। সে গুলো হলো – বিকল্প কোনো কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না করে কোন মৎস্য জীবিকে নদী থেকে উৎখাত করা যাবে না । প্রত্যেক মৎস্যজীবি কে মৎস্যসাথী, সমুদ্রসাথী কার্ড দিতে হবে। যে সমস্ত মানুষ শুধু মাত্র নদী সমুদ্রের উপর নির্ভরশীল তাদের প্রত্যেককে সমুদ্র সাথী প্রকল্পের আওতায় আনতে হবে। যাদের নতুন কার্ড নেই তাদের পুরনো কার্ডেই ভাতা দিতে হবে।এই বিষয় গুলি গুরুত্ব সহকারে দেখার আশ্বাস দেন বিডিও ।