সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং –

এক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ও তার মা,ঠাকুমা কে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠলো প্রতিবেশী যুবকদের বিরুদ্ধে।ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার সকালে ক্যানিং থানার অন্তর্গত নিকারীঘাটা পঞ্চায়েতের দুমকি গ্রামে। বর্তমানে ওই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ও তার মা,ঠাকুমা ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, নলিয়াখালি জি এন হরিনারায়ণী বিদ্যাপীঠের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী প্রিয়াঙ্কা সরদার।তার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্র ক্যানিংয়ের রায়বাঘিনী উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়। সোমবার পরিবেশ বিদ্যা পরীক্ষা রয়েছে। এদিন সকালে বাড়িতে পড়াশোনা করছিল ওই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী।এমন সময় প্রতিবেশীর সুজন মন্ডলের স্ত্রীর সাথে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর মা রাখী সরদারের পারিবারীক সমস্যা নিয়ে বচসা হয়।অভিযোগ সেই সময় সুজন মন্ডল,মহেশ সরদার,মৃত্যুঞ্জয় মন্ডল,ছোট মন্ডল’রা মুগুর দিয়ে রাখী সরদার কে বেধড়ক মারধর করে।মারধোরের হাত থেকে  মা কে মাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে যায় ওই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। সেই সময় তাকে বেধড়ক মারধর করে তুলে আছাড় মারে বলে অভিযোগ। ঘটনায় ওই পরীক্ষার্থীর ঠাকুমাা পান্তি সরদারকে ও বেধড়ক মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ।ঘটনায় উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী সহ তার মা ও ঠাকুমা গুরুতর জখম হয়। পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা তাদের কে উদ্ধার করে।চিকিৎসার জন্য ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়।বর্তমানে ওই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ও তার মা ,ঠাকুমা ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী প্রিয়াঙ্কা সরদারের মা রাখী সরদার জানিয়েছেন, ‘যারা আমাকে,আমার মেয়ে এবং শাশুড়ি কে মেরেছে তাদের শাস্তি চাই।আমার মেয়ের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা রয়েছে। তাকে তুলে আছাড় মেরেছে!কিভাবে পরীক্ষা দেবে সেই চিন্তায় রয়েছি। ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্তদের নামে ক্যানিং থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।’অন্যদিকে ক্যানিং থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here